শেষ আপডেট: 26th February 2024 18:00
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সন্দেশখালিতে যাদের জমি গায়ের জোরে দখল করেছিল শেখ শাহজাহান (Seikh Sahjahan) বাহিনী তাদের মালিকানা ফেরত দিতে শুরু করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার।
ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ৬৫ জনের বেশি গ্রামবাসীর জমি ফেরত দিয়েছে সরকার।
উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে যে স্থানীয় মানুষের যে আন্দোলন দলা পাকিয়ে উঠেছে তার নেপথ্যে অন্যতম কারণ হল, জোর করে জমি দখল। এই জমি সরকার নেয়নি। এ ব্যাপারে মূল অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ও তার ভাই সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে। তা ছাড়া তৃণমূলের আর এক নেতা অজিত মাইতির বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন এলাকার মানুষ। মূল অভিযোগ হল, তাদের জমি জোর করে দখল করে সেখানে মাছের ভেরি বানানো হয়েছে।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সন্দেশখালির বিভিন্ন অঞ্চলে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির চালু করে অভিযোগ নিতে শুরু করে। তার পর সেই ক্যাম্পে যে সব জমি দখলের অভিযোগ জমা পড়ে তা খতিয়ে দেখতে শুরু করে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ল্যান্ড রেকর্ড চেক করে মালিকানা ফেরত দেওয়ার কাজ শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার।
ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর সূত্রে বলা হচ্ছে, দারিরজঙ্গল মৌজায় ২৮ জনের জমির মালিকানা ২২ ফেব্রুয়ারি ফেরত দেওয়া হয়েছে। যাঁদের জমির মালিকানা ফেরত দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন অনীতা দাস, উর্মিলা দাস, মিন্টু নায়েক, পুলিন দাস, সত্যচরণ নায়েক, সন্তোষ কান্দার প্রমুখ।
পর দিন ২৩ ফেব্রুয়ারি আরও ১৩ জনকে জমির মালিকানা ফেরত দেওয়া হয়েছে। শনিবার ২৪ ফেব্রুয়ারি মালিকানা ফেরত দেওয়া হয়েছে ২৪ জনের।
পর্যবেক্ষকদের মতে, কৌশলগত ভাবেই সন্দেশখালির আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে সরকার। এলাকার মানুষের সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক গড়ে তুলতে একদিকে যেমন জমি ফেরত দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে, তেমনই এবার শেখ শাহজাহান, শেখ সিরাজউদ্দিনদের গ্রেফতার করার তৎপরতাও শুরু হয়েছে।
রবিবার রাতে অজিত মাইতিকে আটক করেছে সন্দেশখালি থানার পুলিশ। সোমবার তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিন শাসক দল পষ্টাপষ্টি জানিয়ে দিয়েছে, ৭ দিনের মধ্যে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করবে পুলিশ। অর্থাৎ যাদের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে, তাদের গ্রেফতার করে অসন্তোষ হাওয়া বের করে দেওয়ার চেষ্টা শুরু হয়েছে।
শাসক দলের এক নেতা এদিন বলেন, সন্দেশখালি নিয়ে রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনায় গোড়া থেকে কিছু ত্রুটি হয়েছে। ব্যাপারটা যে এত বড় আকার নেবে তা আন্দাজ করা যায়নি। গোড়া থেকেই এই দুই পদক্ষেপ করলে অনেক কিছুই এড়ানো যেত।