দ্য ওয়াল ব্যুরো: পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভায় পাঁচ জন সাংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে এপ্রিলে। সেজন্য ভোট হবে ফেব্রুয়ারির ২৭ তারিখ। বাংলা থেকে ওই পাঁচ আসনে বর্তমানে সাংসদ রয়েছেন তৃণমূলের নাদিমুল হক, শুভাশিস চক্রবর্তী, শান্তনু সেন ও আবির বিশ্বাস। এ ছাড়া রয়েছেন কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। 

এই পাঁচটি আসনের মধ্যে একটি আসন অর্থাৎ অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির আসনটি এবার বিজেপির পাওয়ার কথা। বিধানসভায় বিধায়ক সংখ্যার ভিত্তিতে তা পাওয়ার কথা বিজেপির। বাকি চারটি আসনে প্রার্থী দেওয়ার ক্ষেত্রে একমাত্র নাদিমুল হককেই ফের মনোনয়ন দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভাশিস চক্রবর্তী, শান্তনু সেন এবং আবির বিশ্বাসকে আর রাজ্যসভায় পাঠাতে চাইলেন তিনি। পরিবর্তে প্রার্থী করা হল, মতুয়া বাড়ির বড় বউ মমতাবালা ঠাকুর ও দলের প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ সুস্মিতা দেবকে। তালিকায় চমক বলতে রইলেন সাংবাদিক রাজদীপ সরদেশাইয়ের স্ত্রী সাগরিকা ঘোষ। 

নাদিমুল যে ফের মনোনয়ন পেতে পারেন তা দ্য ওয়ালে লেখা হয়েছিল। সেই সঙ্গে একমাত্র দ্য ওয়ালেই লেখা হয়েছিল যে শান্তনু, আবির ও শুভাশিসের ফের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। হয়েছেও তাই। কারণ, এক- নাদিমুল সংখ্যালঘু মুখ। একটি উর্দু সংবাদপত্রের মালিক-সম্পাদক। ভোটের আগে তাঁক সরানোর ঝুঁকি যে শাসক দল নেবে না তা বোঝা যাচ্ছিল। তা ছাড়া বিকল্প কাউকে পাওয়া যাচ্ছিল না। 

দুই, মমতা-অভিষেকের কাছে রিপোর্ট হল রাজ্যসভায় এই তিনজনের পারফরমেন্স ছিল খুব খারাপ। শুভাশিসের উপস্থিতির হার ছিল অতিশয় নগন্য। আবির কমবেশি যেতেন। আর শান্তনু রাজ্যসভায় গেলেও তেমন ছাপ ফেলার মতো ভূমিকা ছিল না। 

আবির বিশ্বাস হলেন তফসিলি জাতির প্রতিনিধি। তাঁকে ফের প্রার্থী না করলে পরিবর্তে এখন তফসিলি জাতির মুখের প্রয়োজন ছিল। মমতা বালা ঠাকুরকে সেই কারণেই বাছা হয়েছে। তা ছাড়া মতুয়া ভোটের কথাও মাথায় রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গত, অতীতে বনগাঁ লোকসভা থেকে তৃণমূলের সাংসদ ছিলেন মমতা বালা। সুস্মিতা দেবও আগে রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। কিন্তু রাজ্যসভার গত ভোটে তাঁকে মনোনয়ন দেননি মমতা। এবার ফের ফিরিয়ে আনা হল। 

তৃণমূলের একটি সূত্রের মতে, আবিরকে রাজ্যসভা থেকে সরিয়ে লোকসভা ভোটে রানাঘাট থেকে প্রার্থী করার ব্যাপারে একটা প্রস্তাব ছিল। কিন্তু এখন মমতা-অভিষেকের যা মতিগতি তা মনে করা হচ্ছে, রানাঘাটে আবিরকে প্রার্থী করা হবে। বরং ওই আসনের জন্য একটি তফসিলি জাতির মুখ খুঁজতে শুরু করেছে দল।