মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: 23rd September 2024 16:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো: 'কুৎসা করলে টিআরপি বাড়ে না। মানুষের পাশে থাকতে হয়।’-- সোমবার বর্ধমানে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করার সময়ে এই কথাটা একাধিকবারই উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন বন্যার ক্ষয়ক্ষতি পরবর্তী কাজকর্মের কথা উল্লেখ করেন তিনি। পুজোর ছুটিতে সব মেরামতি করে ফেলার কথাও বলেন। পাশাপাশি কেন্দ্রকে নিশানা করে দায়ী করেন এই বন্যার জন্য।
পাশাপাশি, এদিনের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে বারবার বলতে শোনা যায়, 'কুৎসা, অপপ্রচারে কান দেবেন না। কুৎসা করলে টিআরপি বাড়ে না। মানুষের পাশে থাকতে হয়।’
তিনি আরও বলেন, 'পাঁচটা কাজ করলে একটায় ভুলভ্রান্তি হতেই পারে। তা দিয়ে ন্যারেটিভ না বানিয়ে, আসুন আমরা বন্যাকবলিত মানুষদের পাশে দাঁড়াই।'
প্রসঙ্গত, সদ্য শেষ হয়েছে চিকিৎসকদের আন্দোলন। যদিও তাঁরা বলেছেন, আরজি করের নির্যাতিতার পূর্ণ বিচার না হওয়া অবধি আন্দোলন চলবে, কেবল কর্মবিরতি তুলেছেন তাঁরা। পাশাপাশি, স্বাস্থ্যসচিবকে অপসারণের দাবিতেও এখনও অনড় তাঁরা। এছাড়া তাঁদের অন্যান্য দাবিগুলির প্রায় সবই মেনে নিয়েছে সরকার।
অনেকের মতে, এই পরিস্থিতিতে শাসকদলের অবস্থান খানিকটা কোণঠাসা বইকী। তাই সেই পরিস্থিতিতেই বন্যা পরিদর্শনের কাজে যখন জেলায় জেলায় ছুটে বেড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, তখন তিনি মনে করিয়ে দিলেন, যাই ঘটুক না কেন, 'মানুষের পাশে থাকার' কাজটি তিনি বা তাঁর সরকার করে চলেছে।
বন্যা পরিস্থিতির অবনতির খবর পেয়েই গত সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী ছুটেছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর। ঘাটালেও গিয়েছিলেন তিনি। জলে নেমে বন্যার কাজ তদারকি করতে দেখা যায় তাঁকে।
এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তরফে নিরন্তর চলছে ত্রাণ পৌঁছনোর কাজ। সক্রিয় হয়েছেন সাংসদ-বিধায়করাও। এমনকি সরকারি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদেরও জলে নেমে ত্রাণ বিলি করতে দেখা গেছে।
আজ মুখ্যমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে বলেন, 'সরকার যেমন করছে তেমন পুলিশও অনেক জায়গায় কমিউনিটি কিচেন করেছে। আমাদের দলের পক্ষ থেকেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যেখানে বন্যা হয়েছে, আমরা সেখানে সাধ্যমতো শুকনো খাবারের প্যাকেট দিচ্ছি। কেউ যেন বঞ্চিত না হয় সেটা আমাদের দেখতে হবে। আমি সাংসদদের বলেছি, তাঁদের কোটার যে টাকা আছে সেটা দিয়ে গ্রামীণ রাস্তাগুলি যতটা পারবেন করুন।’