শেষ আপডেট: 5th November 2024 22:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আমডাঙার প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক আবদুস সাত্তার (Dr. Abdus Sattar) এবার জোড়াফুলে। সাত্তার সাহেব অবশ্য এখনই তৃণমূলের দলীয় পতাকা হাতে তোলেননি। বরং তাঁকে প্রশাসনিক পদে রাজনৈতিক ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Chief Advisor to Chief Minister Mamata Banerjee on Minority Affairs) মুখ্য উপদেষ্টা হিসাবে সাত্তারকে নিয়োগ করল নবান্ন। একই সঙ্গে রাজ্যের সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাস শিক্ষা দফতরের উপদেষ্টা পদে নিয়োগ করা হয়েছে। একজন প্রতি মন্ত্রীর সমতুল মর্যাদা পাবেন আবদুস সাত্তার।
বাংলায় উৎসব পর্ব মেটার পর মঙ্গলবার ফের সরকারি অফিস খুলেছে। এদিন সাত্তারকে নিয়োগের ব্যাপারে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে তা দু’কারণে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এক, এ মাসের ১৩ তারিখ রাজ্যের ৬টি বিধানসভা আসনে উপ নির্বাচন রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল উত্তর চব্বিশ পরগনার নৈহাটি। এই বিধানসভার প্রায় লাগোয়া এলাকা হল আমডাঙা।
তবে পর্যবেক্ষকদের মতে, এ হল ক্ষুদ্রতর কারণ। বৃহৎ ছবিটা আসলে ছাব্বিশের। বাংলায় সংখ্যালঘুদের মধ্যে তৃণমূলের জনভিত্তি অটুট রয়েছে। তা বেশ মজবুতও বটে। কিন্তু ঘটনা হল, তৃণমূলে যুৎসই সংখ্যালঘু নেতা নেই। ফিরহাদ হাকিম রাজ্যের বড় মন্ত্রী হলেও, অতীতে আমতা বা বগটুইয়ের ঘটনায় রাজনৈতিক ব্যবস্খাপনার ক্ষেত্রে তাঁর ব্যর্থতা বেশ প্রকট হয়ে পড়েছিল। তাই দলের মধ্যেই একাংশের দাবি ছিল যে সংখ্যালঘুদের নেতৃত্ব দেওয়ার ব্যাপারে উদ্দ্যমী মুখের প্রয়োজন।
আবদুস সাত্তার পেশায় অধ্যাপক। বামপন্থী রাজনীতি করে উঠে এসেছেন। তৃণমূলের এক রাজ্য নেতার কথায়, সাত্তার সাহেব সংখ্যালঘুদের ভালমন্দের বিষয়টি ভাল বুঝবেন বলে আশা করা যায়।
তবে এই নয়া নিয়োগ ও বদলের মরশুমে আরও একটি তত্ত্ব ঘোরাফেরা করতে শুরু করেছে। অনেকে মনে করছেন, আবদুস সাত্তারকে বেছে নেওয়া ও তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টার মতো পদে বসানোর নেপথ্যে আই প্যাকের গবেষণা ও সুপারিশ রয়েছে। হয়তো সেটা মেনে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।