শেষ আপডেট: 24th October 2024 17:32
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানায় ডিভিসি। ঘূর্ণিঝড় দানার দাপটে ইতিমধ্যে রাজ্যের ৯ জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। দুর্যোগ ঠেকাতে জেলায় জেলায় প্রশাসনিক প্রস্ততিও নেওয়া হয়েছে।
এরই মধ্যে বুধবার নতুন করে ঝাড়খন্ড থেকে জল ছেড়েছে ডিভিসি। বৃহস্পতিবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "ডিভিসি বুধবার আবার ২৪ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে। ঝাড়খন্ডে বৃষ্টি হলে আবারও ছাড়বে। বাংলাটা যেন ওদের জল হজম করার জায়গা হয়ে গেছে।"
পুজোর মুখে ডিভিসির ছাড়া জলে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সে সময় ক্ষুব্ধ মমতা ডিভিসির সঙ্গে বাংলার সম্পর্ক ত্যাগের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। না জানিয়ে জল ছাড়ার অবিযোগে ডিভিসির কমিটি থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন বাংলার প্রতিনিধি। কেন্দ্রীয় সরকার গোটা বিষয়টি নিয়ে কেন উদাসীন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা।
মমতার বক্তব্য ছিল, ''রাজ্যকে বিপদে ফেলতে ইচ্ছাকৃতভাবে এসব করা হচ্ছে। আর গোটা বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার উদাসীন। বন্যার জন্য দায়ী ডিভিসি। ঝাড়খণ্ডকে বাঁচাতে পরিকল্পিতভাবে বাংলাকে ডোবাচ্ছে।'
ডিভিসির জলধারণ ক্ষমতা নিয়েও সে সময় প্রশ্ন করেছিলেন মমতা। তিনি বলেন, "ডিভিসির জলধারণ ক্ষমতা আগের থেকে ৩৬ শতাংশ কমে গেছে। ড্রেজিং না করার জন্যই এমন হয়েছে। আর কেন্দ্রীয় সরকার এ ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ নেয় না। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেও কোনও লাভ হয়নি।"
এদিন এই প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন, "ওরা যদি খননটা ঠিকভাবে করে, পলিগুলো পরিষ্কার করে তাহলে অনেক বেশি জলধারণ করতে পারে।"
এ প্রসঙ্গে কলকাতার প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন, "আগে কলকাতায় বৃষ্টি হলেই জল জমতো। এখনও কলকাতায় অনেক জায়গায় জল জমে তবে সঙ্গে সঙ্গে নেমে যায। কারণটা কী? কারণ, আমরা কলকাতার পাম্পিং সিস্টেম (নিকাশি ব্যবস্থা) আগের থেকে অনেক উন্নত করেছি।"
একই সঙ্গে এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান জানান, দুর্যোগ এলাকার ৩ লক্ষ ৫৬ হাজার ৯৪১ জনকে চিহ্নিত করলেও বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত ত্রাণ শিবিরে যেতে রাজি হয়েছেন ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৮৩৭ জন মানুষ। বাকিদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ, "একটা রাতের জন্য প্লিজ সরকারের ঘোষণা মতো ক্যাম্পে এসে থাকুন। জীবনের চেয়ে মূল্যবান আর কিছু হতে পারে না।"