মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: 23rd September 2024 16:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির কারণে একাধিক প্রান্তে ভেঙে পড়েছে বাড়ি, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাস্তাঘাটও। পরিস্থিতি সামলে দ্রুত সবকিছু মেরামতের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিন বর্ধমানের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ, “পুজোর ছুটির মধ্যেই সব কাজ সেরে ফেলতে হবে।”
সোমবার বর্ধমানে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, “ফ্লাড সেন্টার তৈরি করলেও বাঁধ ভাঙছে। পুজোর ছুটির মধ্যেই সমস্ত কাজ সেরে ফেলতে হবে।” পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বন্যা পরিস্থিতির কারণে ভেঙে যাওয়া রাস্তা ও মাটির বাড়ি দ্রুত মেরামতির নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠক দেরে মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছে যান বাঁকুড়া বড়জোড়ার ত্রাণ শিবিরে। পুজোর মুখে বন্যাবিধ্বস্ত অঞ্চল সরেজমিনে দেখেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন এলাকার মানুষজন।
মমতা বলেন, “আমরা ২৪ ঘণ্টা বন্যা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। অনেকগুলো বন্যা সেন্টার তৈরি হলেও বাঁধ ভাঙছে।” দরকার হলে স্কুলগুলোকে যাতে কাজে লাগানো যায়, সেদিকে নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “আমি চাষি ভাই-বোনেদের চিন্তা করতে বারণ করব। বন্যার জল সরে গেলে আপনারা শস্য বিমার টাকা পাবেন”। পরিস্থিতি ঠিক হলে যাঁদের জমি নষ্ট হয়েছে, তাঁদের জমি মেপে শস্যবিমার টাকা যাতে দ্রুত মেলে সেই ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা আশ্বাস দেন, “পাকা বাড়ির পাশাপাশি কাঁচা বাড়ি সংস্কারের কাজও করবে রাজ্য। জল নেমে গেলে দ্রুত সেই কাজ শুরু হবে। রাজ্য প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি পরিদর্শনের করে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব দেবে।”
অন্যদিকে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্র ভোটের জন্য যে টাকা খরচ করে, তার ১ শতাংশ যদি রাজ্যকে দিত তাহলে আমদেরও এমন পরিস্থিতি সামলাতে সুবিধা হত।” নতুন করে বৃষ্টি হলে রাজ্যের পরিস্থিতি যে আরও খারাপ হবে সেই আশঙ্কার কথাও এদিন শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর গলায়।
এরপরই পূর্ত দফতরকে যে সব রাস্তা ভেঙেছে তা সমীক্ষা করে দেখার নির্দেশ দেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আগামী ডিসেম্বরে ১১ লক্ষ পাকা বাড়ি করার জন্য সরকার টাকা ছাড়বে। পঞ্চায়েত দফতরকেও বলা হয়েছে জল কমলেই যেন সমীক্ষার কাজ শেষ করে।’’