শেষ আপডেট: 8th January 2025 11:21
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মালদহের তৃণমূল নেতা দুলাল সরকারকে খুনের ঘটনায় তৃণমূল নেতা নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ও স্বপন শর্মা নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার তাঁদের মালদহ জেলা পুলিশ গ্রেফতার করে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দুলাল সরকার খুনের ঘটনায় মঙ্গলবারই দলের টাউন সভাপতি তথা হিন্দি সেলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে ইংরেজবাজার থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। জেরা করা হয় নরেন্দ্রনাথের দুই ভাই ধীরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি এবং অখিলেশ তিওয়ারিকেও।
জানা গেছে মঙ্গলবার ২১ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। তারপরই নরেন্দ্রনাথ ও তপনকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও দুলাল সরকার খুনে তাঁদের কেউ জড়িত নন বলে দাবি নরেন্দ্রনাথের ভাই ধীরেন্দ্রনাথের।
মালদহের জেলা তৃণমূল সহ সভাপতি দুলাল সরকারকে খুনের ১০ দিন আগে থেকে দুষ্কৃতীরা রেইকি করছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। ঘটনার তদন্তে নেমে দু'জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ধৃত মহম্মদ সামি আখতার এবং টিঙ্কু ঘোষের মধ্যে আখতারের বাড়ি বিহারে। ধৃতদের জেরা করে পরে আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। তাদের মধ্যে আব্দুল গনি নামে বিহারের আরও এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপরই বিহার যোগের বিষয়ে নিশ্চিত হয় পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, বড়দিনের দিনই বাবলা সরকারের ওপর হামলার ছক কষেছিল দুষ্কৃতীরা। কিন্তু সেদিন তৃণমূল নেতার সঙ্গে প্রচুর লোকজন থাকায় প্ল্যান বদলাতে বাধ্য হয়েছিল তারা।ইংরেজবাজারে বাড়ি থেকে বেরিয়ে দলীয় কার্যালয়ে গিয়েছিলেন দুলালবাবু। কাজকর্ম সেরে পার্টি অফিস থেকে বেরিয়ে নিজের ফ্যাক্টরির দিকে রওনা হন। সেখানেই মোটরবাইকে আসা তিন দুষ্কৃতী তাঁকে তাড়া করে।
এরপর দুলালবাবুকে লক্ষ্য করে পরপর ৪ রাউন্ড গুলি ছোড়ে তারা। তিনটি গুলি লাগে দুলালবাবুর। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। গুলি শব্দ ও আর্তনাদ শুনে দলের কর্মীরা ছুটে আসে। তাঁরাই তাঁকে মালদহ মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।