শেষ আপডেট: 30th January 2025 19:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ইচ্ছে মতো গাছ কেটে বহুতল নির্মাণের দিন শেষ। এখন থেকে বাড়ি তৈরির জন্য বিল্ডিং প্ল্যানের আবেদন আগে জানাতে হবে বন দফতরে। সেখান থেকে ছাড়পত্র মিললে তবেই চূড়ান্ত অনুমতি মিলবে পুরসভা থেকে।
সূত্রের খবর, বুধবার পুরভবনে কলকাতা পুরসভার সঙ্গে বৈঠকে এই প্রস্তাব দেন রাজ্য বনদফতরের আধিকারিকেরা। তাঁরা বিল্ডিং প্ল্যানে বদল আনার প্রস্তাব দেন।
কী বলা হয়েছে প্রস্তাবে? সূত্রের খবর, প্রস্তাবে বন দফতরের তরফে বলা হয়েছে, যেহেতু গাছ কাটার অনুমতি দিয়ে থাকে বন দফতর, তাই কোথাও গাছ কাটার বিষয় থাকলে সেটা আগে বন দফতরের কাছে পাঠানো হোক। এ ক্ষেত্রে ভিজিটে গিয়ে বন দফতরের আধিকারিকেরা দেখে নিতে পারবেন যেখানে গাছ কাটা হচ্ছে তার আশেপাশে প্রয়োজন ভিত্তিক গাছ লাগানোর জায়গা আছে কিনা। যদি সেই জায়গা থাকে তাহলেই অনুমতি দেবে বন দফতর।
বন দফতরের অনুমতি মিললে পুরসভা থেকে অনুমতি পেতে আর কোনও বাধা থাকবে না। এক্ষেত্রে যত্রতত্র গাছ কাটা যেমন রোধ করা যাবে তেমনই বাসিন্দাদের বিল্ডিং প্ল্যান পেতেও আগের মতো হয়রানি হতে হবে না।
তবে প্রস্তাবের বিষয়ে পুরসভার বিল্ডিং বিভাগকে রূপরেখা তৈরির পরামর্শ দিয়েছে বন দফতর। নয়া রূপরেখা নিয়ে পুরসভা এবং রাজ্য বন দফতরের আধিকারিকেরা যৌথভাবে সমর্থন জানালে তবেই নতুন নিয়ম লাগু হবে। ততদিন পর্যন্ত গাছ কাটা নিয়ে যে বাড়ি তৈরির অনুমোদনগুলি আটকে রয়েছে, সেগুলি বাস্তবায়িত হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
বস্তুত, এতদিন বাড়ি তৈরি করার সময় গাছ কাটতে হলে পুরসভা থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেওয়া হত। তারই ভিত্তিতে গাছ কাটার অনুমতি দিত রাজ্য বন দফতর। এক্ষেত্রে একটি গাছ কাটলে তার বদলে পাঁচটি গাছ লাগাতে হত। কিন্তু এমন বহু জায়গা রয়েছে যেখানে নতুন গাছ লাগানোর কোনও জায়গা নেই। এসব ক্ষেত্রে গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এরকম একাধিক বাড়ির বিল্ডিং প্ল্যান ঝুলে রয়েছে। এ বিষযেই বুধবারের বৈঠকে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে বন দফতর।