শেষ আপডেট: 31st January 2025 11:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সরকারি হিসেবে কুম্ভমেলায় মৃতের সংখ্যা ৩০ জন। মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য হিসাবে ২৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
কিন্তু আসলে কুম্ভমেলায় পদপিষ্ট হয়ে ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। তার ওপর মৃতের পরিবারকে ডেথ সার্টিফিকেট-পোস্টমর্টেমের রিপোর্ট না দিয়ে জোর করে চিরকুটে সই করে মৃতদেহ নিতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। সেই সূত্রেই এই প্রশ্নও সামনে আসছে, সরকারিভাবে ডেথ সার্টিফিকেটের কোনও কাগজই যদি না থাকে তাহলে কীভাবে ক্ষতিপূরণের টাকার জন্য আবেদন করবেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা? গোটা ঘটনায় যোগী রাজ্যে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন সামনে আসছে।
কুম্ভমেলায় মৌনি অমাবস্যায় পদপিষ্ট হয়ে মৃত ৩০ জনের তালিকায় রয়েছেন বাংলার তিন বাসিন্দা- কলকাতার বিজয়গড়ের বাসিন্দা বাসন্তী পোদ্দার (৬৫), পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীর উর্মিলা ভুইয়াঁ (৭৮) এবং পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ার কেন্দার বিনোদ রুইদাস (৪১)। তিনটি পরিবারেরই অভিযোগ, পোস্টমর্টেম এবং ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই মৃতদেহ নিতে বাধ্য করা হয়েছে। এমনকী সাদা কাগজের চিরকুটে লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে, 'প্রিয়জনের মৃতদেহ পেলাম!'
মৃত্যুর কারণ বা ঘটনাস্থলের কোনও উল্লেখও নেই সেই চিরকুটে। এমনকী সরকারি কোনও স্ট্যাম্পও নেই। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি সেই রাতে পদপিষ্ট মৃত্যুর সংখ্যা তাহলে অনেক বেশি। তা না হলে কেন মৃত ব্যক্তিদের পরিবারকে সরকারিভাবে ডেথ সার্টিফিকেট দিচ্ছে না। সেই সূত্রেই মৃতদেহর প্রকৃত সংখ্যা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগও সামনে আসছে।
এদিকে বাংলার আরও ৭ জন এখনও নিখোঁজ। তাঁরা কোথায়, কীভাবে রয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনায় উদ্বিগ্ন সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলির অভিযোগ, যোগী রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকে যথাযথ সহায়তা মিলছে না।