শেষ আপডেট: 28th January 2025 18:42
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কুণাল ঘোষ, ফিরহাদ হাকিম, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়ের পর এবার আসরে মদন মিত্র। আরজি করের নির্যাতিতার পরিবারকে আক্রমণের নিরিখে বাকিদের ছাপিয়ে গেলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর শোরগোল তৈরি হয়েছে।
এদিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নির্যাতিতার বাবা-মার প্রতি মদন মিত্রর প্রশ্ন, "বলুন কী চাই? টাকা?" খানিক থেমে জবাবও দিয়েছেন মদন নিজেই, "টাকা দিয়েই সবকিছু ঢাকা যায়!"
বিজেপি এবং সিপিএমের কথাতেই তাঁরা তৃণমূলের সরকারকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টায় নেমেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন মদন। আরজি কর কাণ্ডে সঞ্জয় রায়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যে ফাঁসির আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার এবং সিবিআই।
এ বিষয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। যার জবাবে মদনের পাল্টা প্রশ্ন, "আপনারা কি ছেলেটির ফাঁসি চান? যদি চান, তাহলে কোর্টে গেলেন না কেন? আপনারা মা-বাবা হয়ে দাঁড়াতে পারতেন আদালতের কাছে। ফাঁসি না চাইলে সিবিাআই-কে বারণ করলেন না কেন?"
'কী করতে হবে', তাও জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক। মদনের কথায়, "যদি ফাঁসি আর ফাঁসি নয়ের মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে থাকতে চান, তাহলে কোথায় উপনির্বাচনে খোঁজ করুন। তবে জিততে পারবেন না। চান্স নেই।"
মদনের অভিযোগ, বিজেপি এবং সিপিএমের শিখিয়ে দেওয়া বুলিই আওড়াচ্ছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। এমনকী তাঁরা বাংলায় দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ করেছেন মদন। কামারহাটির বিধায়ক বলেন, "শুনেছি ডাক্তারদের ৪-৫ কোটি উঠেছিল। হ্যাঁ, যদি মনে করেন টাকা চান, টাকা চান। সব কিছু টাকা দিয়ে ঢাকা যায়। আমরা শ্রাদ্ধে পড়েছি, কিছু দিতে পারি না টাকা দিয়ে বলে ওম নমো ওম নমো ব্রাহ্মনায়ো অহং দদানি। কিন্তু কেন এসব করে বাংলায় দাঙ্গা লাগাতে চাইছেন আপনারা?"
এবিষয়ে নির্যাতিতার বাবা-মার কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও জানা যায়নি। তবে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসক থেকে আইনজীবীদের একাংশ। তাঁদের মতে, মেয়েকে হারিয়ে মা-বাবা কার্যত নিঃস্ব। এভাবে তাঁদেরকে আক্রমণ না করলেই পারতেন মদন মিত্র। কেউ কেউ কটাক্ষের সুরে এও বলেছেন, মদন মিত্র তৃণমূলের 'প্রকৃতির' পরিচয় দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেও শোরগোল তৈরি হয়েছে।