শেষ আপডেট: 3rd February 2025 22:31
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দু’দিন আগে আই-প্যাকের বিরুদ্ধে বোমা ফাটিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একেবারে গোড়ার দিকের সৈনিক মদন মিত্র। তাঁর সাফ কথা ছিল, ‘আইপ্যাকের কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্লিন ইমেজে কালি লেগেছে।’ এখানেই থেমে না থেমে মদন বলেছিলেন, আইপ্যাকের কারণেই অনেকে টাকা দিয়ে পদ কিনেছেন। লজ্জায় বাইরে বলতে পারছেন না। তাহলে ঘরের বাইরে বেরোতে পারবেন না।
আই-প্যাকও এখনও তৃণমূলকে পরামর্শ দেয়। অর্থাৎ তৃণমূলকে রাজনৈতিক কৌশলগত পরামর্শ দেওয়ার কাজ তারা করে। তাই এহেন মদনবাণ আই-প্যাককে যেমন অস্বস্তিতে ফেলেছে, তেমনই তোলপাড় ফেলে দিয়েছে তৃণমূলের মধ্যে। জোড়াফুলের একটি সূত্রের দাবি, মদনের এই বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারের পর আই-প্যাকের এক কর্তা রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে ফোন করেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এর পরেও দল শো-কজ করবে না?
তবে তাৎপর্যপূর্ণ হল, মদন মিত্রের কাছে লিখিত ভাবে কোনও শো-কজ চিঠি পাঠানননি সুব্রত বক্সী। কিন্তু হ্যাঁ, এর পরই দেখা যায় সোমবার শুক্লা পঞ্চমীর তিথি কেটে ষষ্ঠী লাগতেই মদন মিত্র ইংরেজিতে একটি চিঠি লিখে রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে পাঠান। তাতে ইংরেজিতে যা লেখা ছিল, তার অর্থ এরকম—"কিছু ইলেকট্রনিক মিডিয়া আমার সম্পর্কে কিছু অপ্রীতিকর তথ্য প্রচার করছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এর জন্য দুঃখিত, কারণ আমি জ্বরে ও অন্যান্য শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলাম। একজন সিনিয়র তৃণমূল কর্মী হিসেবে আমি নিজেকে সংযত রাখতে পারিনি। তবে আমি আমাদের দলের একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী এবং সর্বদা দলের সিদ্ধান্ত অনুসরণ করি ও দলের জন্য লড়াই করি।
আমি আশা করি এবং বিশ্বাস করি যে আপনারা আমার ক্ষমাপ্রার্থনা ও মানসিক যন্ত্রণা বিবেচনা করবেন এবং এটি সম্প্রচার করে আমাকে বাধিত করবেন”।
কিন্তু মদনের এই ইংরেজিতে ক্ষমা প্রার্থনা কেন যে দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। রাতে দেখা যায় মদন মিত্র বাংলায় লিখে একটি চিঠি পাঠান রাজ্য সভাপতিকে। তার পর পরই সেই চিঠির ছবি আবার তৃণমূলের প্রচারযন্ত্রের মাধ্যমে সাংবাদিকদের কাছে মুহূর্তে পৌঁছে যায়। তবে ঘরোয়া আলোচনায় এর পরেও মদনকে বলতে শোনা যায়, আমার উদ্দেশ্য সফল হয়ে গেছে। এ নিয়ে এখন আর কিছু বলব না।
দ্বিতীয় চিঠিতে মদন আর জ্বর বা শরীর খারাপের কথা লেখেননি। সোজাসুজি ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। নীচে সেই চিঠির প্রতিলিপিও দেওয়া হল।