শেষ আপডেট: 19th November 2024 20:50
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ফের স্বমেজাজে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। এবার তাঁর নিশানায় দলেরই দুই সিনিয়র লিডার।
প্রথম জন সৌগত রায়। দ্বিতীয় জন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সৌগতর নামোল্লেখ করলেও সরাসরি কল্যাণের নাম উল্লেখ করেননি। তবে তার বক্তব্য শুনে পর্যবেক্ষকদের অনেকের মত, কল্যাণকে খোঁচা দিয়েই একথা বলেছেন মদন।
সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সৌগত রায়। ওই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কলকাতা পুলিশের পাশে দাঁড়িয়ে ঘুরিয়ে দমদমের সাংসদকে খোঁচা দিয়েছেন মদন। কামারহাটির বিধায়কের কথায়, "সৌগতদা আমার নেতা, উনি বয়স্ক, পিতামহ ভীষ্মর লেবেলে চলে গেছেন! তার কথা তো শুনে চলতেই হবে!"
এরপরই রসিকতার সুরে মদন যোগ করেছেন, "সৌগতদা কি জানেন যে তাঁর যে সিকিউরিটি তাঁর কাজ তো নিরাপত্তা দেওয়া। কিন্তু তাকে দিয়ে কী কী কাজ করানো হয়। সৌগতদা কি সেটা জানেন?"
একই সঙ্গে নাম না করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আক্রমণ করেছেন মদন। নাম না করে রসিকতার সুরে মদন বলেন, "আমাদের দলের একজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ নেতা আছেন, প্রায় সুপ্রিমকোর্টের চিফ জাস্টিস লেবেলের লোক আর কী! তিনি দেখলাম বলেছেন, ২ বছর ধরে প্রেসিডেন্ট রয়েছে। কে মাথায় হাত রেখেছে। আমি তো অবাক হয়ে শুনলান। বাড়ির লোককে জিজ্ঞেস করলাম, আমরা কি পার্টি চেঞ্জ করেছি! বলল না। জিজ্ঞেস করলাম, পার্টির নাম- বলল তৃণূল কংগ্রেস! এই পার্টিতে কী হবে, কে ঠিক করবে সেটা তো সবাই জানে!"
প্রসঙ্গত, জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারের অভিযোগে পাল্টা সংগঠন গড়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের পাশে না দাঁড়ানোর জন্য টিএমিসিপির রাজ্য সভাপতিকে সম্প্রতি আক্রমণ করেছিলেন কল্যাণ। এদিন সেই প্রসঙ্গেই মদন জবাব দিয়েছেন বলে পর্যবেক্ষকদের অনেকের অভিমত।
এমনকী জুনিয়র চিকিৎসকদের মধ্যে যাদের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারের অভিযোগ আনা হয়েছিল, আদালতে তাদের হয়ে সওয়ালও করেছেন কল্যাণ। এ প্রসঙ্গে মদনের কথায়, "আরে জয়পুরিয়ায় যখন ডাক্তাররা নিজের পয়সা খরচ করে লড়াই করে জিতেছে তারপরেই অনেকে ডাক্তারদের হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে। ফলে এই সব গিমিক করে কোনও লাভ নেই। অভিষেক মমতা ওদের কাজ করছে। কী করতে হবে, কী করতে হবে না, দল জানে।"
এ ব্যাপারে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সৌগত রায় কিছু বলেন কিনা, তা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। প্রতিক্রিয়া এলে প্রতিবেদনে আপডেট করে দেওয়া হবে।