শেষ আপডেট: 3rd February 2025 19:10
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের জমি শক্ত করতে আইপ্যাকের যে বড় ভূমিকা ছিল তা অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকই মনে করেন। তবে দলের অন্দরের অনেকেরই এই সংস্থা নিয়ে ভাল-মন্দ নানা মত ছিল। আইপ্যাকের সমালোচনা করেছেন এমন অনেক নেতাদের মধ্যে রয়েছেন মদন মিত্রও। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূলে দুর্নীতির শুরু করেছে এই সংস্থাই।
তৃণমূল কংগ্রেসে টাকার খেলার ব্যাপারে আগেও প্রতিবাদ করেছিলেন মদন। এবার সেই একই ঢঙে কামারহাটির বিধায়কের দাবি, তৃণমূলে দুর্নীতি শুরু করেছে 'ব্যাগপ্যাক'। তারাই এই পথটা খুলে গিয়েছে। এক জয়গায় ৮-১০ টা নাম ভাসিয়ে দিয়েছে। অন্য রাজ্যের লোক টিকিট পেতে ১-২ কোটি টাকা দিতে চাইছে। প্রার্থী করে দেওয়ার নামে টাকা চেয়েছে আইপ্যাক। আইপ্যাক তৃণমূলকে প্যাকআপ করতে চায়।
মদন মিত্র বলেন, এর আগে যখন তিনি এ নিয়ে প্রতিবাদ করেন, তখন তাঁর কথার ব্যাখ্যা অন্যভাবে করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, সব ব্যাপারটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরে রয়েছে। বিধায়কের কথায়, "আসলে তেমনটা নয়, আমি করজোড়ে বলছি, আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী নই অনুগত। আমার বুক চিরলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা যাবে। আমার কথায় তিনি যদি কখনও দুঃখ পেয়ে থাকেন তাহলে তা আমাকে বললে আমি রাজনীতি ছেড়ে বসে যাব।"
তিনি আরও বলেন, "আমি যেটা বলতে চেয়েছিলাম তা হল, এই গুজরাতি, মাড়োয়ারি, বাইরে থেকে কিছু লোক এসেছে। এদের হাতে কাঁচা পয়সা রয়েছে। তারা বলছে টিকিট দাও, কত টাকা লাগবে? ১ কোটি, ২ কোটি টাকা, নিয়ে নাও! মমতা আর স্বচ্ছতা একই জিনিস। হংস পাখায় কখনও দাগ লাগে না।"
প্রসঙ্গত, ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকে বাংলায় নিয়ে আসেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পারিশ্রমিক নিয়ে তৃণমূলের ভিত মজবুত করার গুরুদায়িত্ব কাঁধে নিয়েছিলেন তিনি। অভিষেক-পিকে জুটিই ছিল ২০২১ সালে নীলবাড়ির লড়াইয়ে তৃণমূলের অন্যতম চালিকাশক্তি।