শেষ আপডেট: 9th August 2023 02:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতের সঙ্গে মহাকাশযুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দিয়েছে রাশিয়া। ইসরোর চন্দ্রযান-৩ এর সঙ্গে সরাসরি টক্কর দিতে নামছে রুশ চন্দ্রযান লুনা-২৫ (Russia's Luna-25)। ৫০ বছর পর ফের চাঁদের দেশে যাচ্ছে রাশিয়া। আগামী শুক্রবার চাঁদের দিকে রওনা হবে মস্কোর মহাকাশযান লুনা-২৫। তারও লক্ষ্য চাঁদের দক্ষিণ মেরু। ভারতের তৈরি চন্দ্রযান ৩-র আগেই কি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামবে রুশ মহাকাশযান (Russia's Luna-25)? বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে এই তকমা পকেটে পুড়বে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ? রুশ রকেটের উৎক্ষেপণের আগেই এই নিয়ে নেট দুনিয়ায় তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা।
সূত্রের খবর, ১১ তারিখ রাশিয়ার ভসটোসনি কসমোড্রোম থেকে সোয়ুজ রকেটের মাধ্যমে লুনা ২৫ ল্যান্ডারকে চাঁদের দেশে পাঠানো হবে। প্রায় ৫০ বছর পর রাশিয়া ফের চাঁদে মহাকাশযান পাঠাতে চলেছে। জানা গেছে, চাঁদের দেশে পৌঁছতে সময় রুশ চন্দ্রযানের নাকি লাগবে মাত্র পাঁচদিন। এরপর ৪-৫ দিন চাঁদকে প্রদক্ষিণ করার পর চঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামবে লুনা-২৫। উঠছে, তবে কি ইসরোর ল্যান্ডার বিক্রমের আগেই রাশিয়ার লুনা-২৫ দক্ষিণ মেরুতে পা রাখতে চলেছে? ভারতের আগেই কি চাঁদ-জয় করে ফেলবে রাশিয়া? তবে এই বিষয়ে এখনও বিশদে কিছু জানাননি ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
রাশিয়ার দাবি, তাদের মিশন সফল হলে ভারতের চন্দ্রযান ৩-এর থেকে আগে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছে যাবে তারা। সেক্ষেত্রে ২০ বা ২১ অগাস্ট চাঁদের বুকে নামতে পারে মস্কোর ওই ল্যান্ডার। সেক্ষেত্রে রাশিয়াই হবে প্রথম দেশ আর ভারত হবে দ্বিতীয়।
এর আগে চাঁদে ল্যান্ডারের সফল অবতরণ করিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চিন। তবে কোনও দেশই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছতে পারেনি। ২০১৯ সালে প্রথমবার চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামার চেষ্টা করে ভারত। কিন্তু সেই মিশন সফল হয়নি। সফট ল্যান্ডিংয়ের মুখে চাঁদের বুকে ভেঙে পড়ে দ্বিতীয় চন্দ্রযানের ল্যান্ডার বিক্রম।
ইতিমধ্যেই চাঁদ ঘুরে এসেছে চিন। ২ কিলোগ্রাম (৪.৪ পাউন্ড) চাঁদের মাটি খামচে নিয়ে পৃথিবীতে ফিরেছে চিনা চন্দ্রযান চ্যাং’ই৫। চাঁদে আগেও মহাকাশযান পাঠিয়েছে চিন, চ্যাং’ই ৩ এবং চ্যাং ‘ই ৪। সে দুটোতে ছিল স্ট্যাটিক ল্যান্ডার যা চাঁদের মাটিতে সফট ল্যান্ডিং করবে, অর্থাৎ গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ করে হালকা পালকের মতো নেমে আসবে। আর রোভার যা চাঁদের পিঠে ঘুরে বেড়িয়ে নমুনা জোগাড় করবে। তবে এই দুই মহাকাশযানকে টেক্কা দিয়ে দিয়েছে চ্যাং’ই ৫। সফট ল্যান্ডিং করেছে কোনও ভুলত্রুটি ছাড়াই। ঠিক যেভাবে প্রোগ্রামিং করা হয়েছিল সেভাবেই কাজ করেছে। নুড়ি-পাথর খামচে রোভারে ভরে আবার ফিরে আসছে পৃথিবীতে। তার মাঝে পতাকা পোঁতা, নমুনা সংগ্রহের ছবি তুলে পৃথিবীর গ্রাউন্ড স্টেশনে পাঠানো, সব কাজই করেছে।