শেষ আপডেট: 9th December 2024 13:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে নিয়ে আদালতে প্রশ্নের মুখে সিবিআই। সোমবার আদালতে কালীঘাটের কাকুর নামে নতুন করে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করার আবেদন জানায় সিবিআই-এর আইনজীবী। বলেন, সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র সশরীরে হাজিরা দিলেন না। পাঁচ বার আমরা প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করার জন্য আবেদন করছি। স্বশরীরে বা ভার্চুয়ালি পেশ করা হোক।
তখনই বিচারপতি বলেন, 'শারীরিক কারণে উনি যদি আদালতে না আসতে পারেন তাহলে সিবিআই জেলে গিয়ে গ্রেফতার করতে পারে। তদন্তকারী আধিকারিকদের সেই ক্ষমতা রয়েছে। দিনের পর দিন প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করা হচ্ছে। আপনারা কীভাবে এত নিশ্চিত হচ্ছেন পরের দিন তিনি হাজিরা দেবেন? আপনারা জেলে গিয়ে গ্রেফতার করুন তারপর আদালতে এসে প্রোডাকশনের জন্য আবেদন করুন।'
বিচারপতি আরও বলেন, 'আজকে কি কোনও অসুবিধা রয়েছে জেলে গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করতে? কী করছেন আপনারা? সব আদালতের উপর ছেড়ে দিচ্ছেন কেন? আপনারা আপনাদের ক্ষমতা প্রয়োগ করুন। প্রতিবার আপনারা আসছেন একই আবেদন করছেন। একই রিপোর্ট আসছে। তদন্তের জন্য যথেষ্ট সময় পেয়েছেন তাও কোনও অগ্রগতি নেই।'
এর পরপরই সিবিআই-এর আইনজীবী বলেন, 'জেল কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক রিপোর্ট ছিল মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে আসতে পারবেন না। তারপরের ৩টি রিপোর্টেও একই কথা বলা হচ্ছে। তাঁকে ভার্চুয়ালি পেশ করা হোক।'
পাল্টা বিচারপতি বলেন, 'আমাকে চিন্তা করতে হবে। অনেক কিছু হয়েছে বিগত দিনে। আমাকে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে হবে। তার পর নির্দেশ দেব। যে মামলায় তিনি জেলে রয়েছেন সেই মামলায় জামিন পেয়েছেন। তার ওপর প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট! আমি প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট পাঠিয়েছি বলেই উনি জেলে আছেন ।
এর পরই তদন্তকারী আধিকারিকরা বলেন, আগামীকাল সশরীরে বা ভার্চুয়ালি তাঁকে পেশ করা হোক।
কালীঘাটের কাকুকে জেরা করতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু অসুস্থতার কারণে আদালতে হাজির হননি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।
বারবার এজলাসে জেরা করতে এসেও খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে সিবিআইকে। আদালত সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্সি জেল থেকে আদালতে যে মেডিক্যাল রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে, তাতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে সুজয়কৃষ্ণ গুরুতর অসুস্থ। জেল হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
কেন বারে বারে সিবিআইকে এড়িয়ে যাচ্ছেন কালীঘাটের কাকু? আইনজ্ঞদের একাংশের মতে, ইডির পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই যেভাবে গ্রেফতার করেছে, একইভাবে সুজয়কৃষ্ণকেও গ্রেফতার করা হতে পারে। এই আশঙ্কা থেকেই সম্ভবত সিবিআইকে এড়িয়ে যাচ্ছেন সুজয়কৃষ্ণ।