শেষ আপডেট: 29th April 2024 21:08
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট, দফায় দফায় লোডশেডিংয়ে নাজেহাল কলকাতাবাসী। বেশ কয়েকদিন ধরে শহর ও শহরতলির বিভিন্ন অংশ পরিস্থিতি খানিকটা এমনই। একেই জ্বালাপোড়া গরম। বাইরে তাপপ্রবাহ। সন্ধে নামলেও স্বস্তি নেই। দমবন্ধ গুমোট গরম। তার উপরে গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো জাঁকিয়ে বসেছে লোডশেডিং। কখনও দুপুরে, কখনও রাতে আচমকা কারেন্ট অফ। প্রাণ ওষ্ঠাগত হতে বসেছে শহরের। এমন অবস্থায় সোমবার দুপুরে বিদ্যুৎ উন্নয়ন ভবনে সিইএসসি ও রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বিদ্যুৎ দফতরের সচিব শান্তনু বসুও ছিলেন সেই বৈঠকে।
তীব্র গরমে এমনিতেই হাঁসফাঁস অবস্থা গোটা দক্ষিণবঙ্গের। তার উপরে গত দু’-তিন দিন ধরে শহর ও শহরতলির বিভিন্ন এলাকায় নাগাড়ে চলছে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট। যার জেরে নাভিশ্বাস উঠেছে মানুষের। বিনিদ্র রাত কাটাচ্ছেন অনেকেই। রোগীদের অবস্থা আরও কাহিল। আজকের বৈঠকে এই পরিস্থিতি নিয়েই সিইওসসি ও রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী। কীভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যাবে সে নিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশও দেন তিনি।
সিইএসসি কর্তৃপক্ষকে আরও দ্রুততার সঙ্গে শহরবাসীর কাছে পরিষেবা পৌঁছে দিতে বলেছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বিদ্যুতের লোড টানতে না পেরে নানা জায়গায় বিদ্যুৎ-বিভ্রাট হচ্ছে, ভোল্টেড কমছে-বাড়ছে, আবার টেকনিক্যাল ফল্টের কারণেও কারেন্ট অফ হয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় কী করণীয় তার নির্দেশ দেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী। সিইএসসির কাছে ১০০টি জেনারেটর রয়েছে। মন্ত্রী বলেন, কোথাও টেকনিক্যাল ফল্ট হলে সঙ্গে সঙ্গে সেই জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছে দিতে হবে। তার জন্য মোবাইল ভ্যানের বন্দোবস্ত রাখতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমকেও কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের হাতে রয়েছে ৪৫০টি জেনারেটর। কোনও ফল্ট হলেই যাতে আগে জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু রাখা যায় সে নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
কেন হচ্ছে এমন বিদ্যুৎ বিভ্রাট? সিইএসসির কথায়, গত কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা প্রচণ্ড বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদাও বেড়ে গিয়েছে। তাই সাধারণ মানুষের এমনিতে যতটা পরিমাণ বিদ্যুৎ লাগে, তার থেকে কয়েক গুণ বেশি বিদ্যুৎ লাগছে। যাঁরা একটি এসি চালান, তাঁরা হয়তো একাধিক এসি চালাচ্ছেন। সেই সঙ্গে বৈদ্যুতিক সামগ্রী বেশি করে ব্যবহার করায় যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অনেকেই যতটা বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য আবেদন করেছেন, তার থেকে কয়েক গুণ বেশি ব্যবহার করছেন। সেই কারণেই কিছু এলাকায় এই বিভ্রাট দেখা দিয়েছে।