শেষ আপডেট: 13 July 2024 00:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলা ভাষা এখন কোন পথে? শ্রীবৃদ্ধি হচ্ছে নাকি বাংলা ক্রমশ গতি হারিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে? প্রয়োগ ও ব্যবহারের বাংলা ভাষা নিয়ে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের তিনদিনের কর্মশালা শেষ হল শুক্রবার। কর্মশালার উদ্বোধন করেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক অমলেন্দু ভুঁইয়া। মূল বক্তা ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার।
তিনি বলেন, 'আমরা এতদিন যে বাংলা পড়েছি সেটা মূলত সাহিত্যের বাংলা। এখন দেখা যাচ্ছে, সেটা যথেষ্ট নয়। তাই চাকরি-বাকরির ক্ষেত্রে কর্মশালাটি খুবই কার্যকরী। এতে ছাত্রছাত্রীদের কর্মজীবনের নতুন পথ খুলে যাবে বলেই আমার বিশ্বাস।'
উপাচার্য বলেন, 'আড্ডা, সাহিত্য, সিনেমা, সোশ্যাল মিডিয়া, বেতার, সংবাদপত্র, টিভি বা গবেষণায় বাংলা ভাষার ভিন্ন ভিন্ন রূপ। সেই ভিন্নতা বাংলা ভাষাকে ক্রমশ ঋদ্ধ করে চলেছে।'
শুক্রবার কর্মশালার শেষ দিনে মুখের ভাষা, প্রযুক্তি ও গণমাধ্যমে ব্যবহৃত বাংলা ভাষার বিভিন্ন রূপ নিয়ে বাংলা বিভাগের তৈরি একটি প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন উপাচার্য। তিনি গবেষক ও ছাত্রছাত্রীদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেন।
প্রাবন্ধিক সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, 'স্কুল বা কলেজ নয়—বাংলা ভাষার প্রয়োগগত দিক মানুষ শিখছে সামাজিক বা অপ্রাতিষ্ঠানিক মাধ্যম থেকে। আমাদের উচিত বাংলার প্রয়োগগত ক্ষেত্রে আঞ্চলিকতাকে গুরুত্ব দেওয়া।' বাংলা বিভাগের ভাষা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সুখেন বিশ্বাস, অধ্যাপক সঞ্জিৎ মণ্ডল ও ড. শ্যামশ্রী বিশ্বাস সেনগুপ্ত আগামী বছর থেকে এই ধরনের কর্মশালা সপ্তাহব্যাপী করার কথা জানান।
খিস্তি, আড্ডা বা সোশ্যাল সাইটের বাংলা ভাষা পরস্পরের থেকে কেন আলাদা হয়ে যায়? গবেষকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বক্তা অর্ক দেব ও সংহিতা সান্যাল এর সঙ্গে দর্শন ও মনস্তত্ত্বের যোগ তুলে ধরেন। কর্মশালায় সাহিত্যিক সিজার বাগচী মুখের ভাষাকেই প্রয়োগের ভাষার সপক্ষে দাবি তোলেন। অন্যদিকে, ইনস্টিটিউট অফ ল্যাঙ্গুয়েজ স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চের ডিরেক্টর অধ্যাপক স্বাতী গুহ বাংলা ভাষার সুখ ও দুঃখের মধ্যে একটা চিন্তাসূত্র খুঁজে পান। বাংলা ভাষার ব্যবহারিক দিকগুলি নিয়ে কাজ এগিয়ে নিতে ওই সংস্থার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের যৌথ উদ্যোগের বিষয়ে সমঝোতা চুক্তি নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন উপাচার্য।