দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেন।
শেষ আপডেট: 17 June 2024 13:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার মতোই বিভীষিকা ছড়ানো বহু ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে দেশে। প্রতিবারই বিবৃতি, অভিযোগ, তদন্ত কমিশন, মৃত্যুমিছিল সত্ত্বেও যাত্রী সুরক্ষা সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক দেশের কয়েকটি ট্রেন দুর্ঘটনার ঘটনাক্রম।
বালেশ্বর: ২০২৩ সালের ২ জুন। ওড়িশার বালেশ্বরে তিনটি ট্রেন এক লাইনে এসে পড়ায় দুর্ঘটনা ঘটে। যার মধ্যে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয় করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ২৯৩ জনের মৃত্যু এবং ১২০০ যাত্রী জখম হন। শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমণ্ডল, বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এবং একটি মালগাড়ির মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
বিহার: ১৯৮১ সালের ৬ জুন। বিহারের মানসি এবং সহর্ষের মাঝামাঝি বাগমতী নদীর উপরে একটি লোকাল ট্রেন বেলাইন হয়ে জলে পড়ে যায়। প্রায় ৮০০ যাত্রীর মধ্যে শপাঁচেক মানুষ মারা যান। যদিও সরকারি হিসাবে ২৩৫ জনের মৃত্যুর খবর মেলে।
পেরুমন ট্রেন দুর্ঘটনা: ১৯৮৮ সালের ৮ জুলাই বেঙ্গালুরু-তিরুবনন্তপুরম এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়ে অষ্টমুড়ি লেকে পড়ে যায়। প্রায় ১০৫ জনের মৃত্যু হয়।
ফিরোজাবাদ: ১৯৯৫ সালের ২০ আগস্ট। উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদে পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস ও কালিন্দী এক্সপ্রেসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ৩৫৮ জনের মৃত্যু হয়। রাত ৩টে নাগাদ ওই দুর্ঘটনার সময় ট্রেনে অধিকাংশ ঘুমিয়ে ছিলেন।
গাইসাল: ১৯৯৯ সালের ২ আগস্ট। অবধ অসম এক্সপ্রেস এবং ব্রহ্মপুত্র মেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। প্রায় ২৯০ জনের মৃত্যু হয়। সিগন্যালের ভুলে দুর্ঘটনা ঘটে। দুটি ট্রেনে প্রায় ২৫০০ জন যাত্রী ছিলেন।
খান্না: ১৯৯৮ সালের ২৬ নভেম্বর। ২১২ জন মারা যান কলকাতামুখী জম্মু-তাওয়াই-শিয়ালদহ এক্সপ্রেস এবং ফ্রন্টিয়ার মেলের সংঘর্ষে।
বালিগোন্ডা এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত: ২০০৫ সালের ২৯ অক্টোবর। অন্ধ্রপ্রদেশে বালিগোন্ডায় ডেল্টা ফাস্ট প্যাসেঞ্জার লাইনচ্যুত হলে ১১৪ জনের মৃত্যু হয়। অতিবৃষ্টিতে একটি ব্রিজের তলার মাটি সরে হড়পা বানে। তাতেই রেললাইন বসে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে।
জ্ঞানেশ্বরী রেল দুর্ঘটনা: ২০১০ সালের ২৮ মে। মেদিনীপুরের এই দুর্ঘটনায় জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের সঙ্গে একটি মালবাহী গাড়ির সংঘর্ষ হয়। প্রায় ১৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এই দুর্ঘটনায় সন্দেহের তির গিয়ে পড়ে মাওবাদীদের দিকে। প্রায় ৪৬ মিটার লাইন উপড়ে ফেলা হয়েছিল বলে তদন্তে জানা যায়। কারও মতে, বোমা মারার জন্য দুর্ঘটনা ঘটেছিল।
অন্ধ্রপ্রদেশ: গতবছর অক্টোবরে বিশাখাপত্তনম-পালাসা প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সঙ্গে বিশাখাপত্তনম-রায়গাড়া প্যাসেঞ্জারের সংঘর্ষে ১৪ জন মারা যান। সিগন্যাল ভুল করে এগিয়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনা ঘটে।
বিহার: ২০২৩ সালের অক্টোবরেই আনন্দ বিহার টার্মিনাল-কামাখ্যা জংশন নর্থ ইস্ট এক্সপ্রেস বক্সারের রঘুনাথপুর স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হয়। চারজনের মৃত্যু ও ৭০ জনের বেশি জখম হন।