শেষ আপডেট: 16th October 2023 17:32
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অতীতে দুর্গা পুজোর অষ্টমী এবং দশমীতে এরাজ্যের মদ দোকানগুলি বন্ধ রাখা হত। সরকারি পরিভাষায় যা ‘ড্রাই ডে’ নামে পরিচিত। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে দুর্গা পুজোয় থাকে না কোনও ‘ড্রাই ডে’। পুজোর চার দিনই মদের দোকান খোলা থাকে। সোমবার বিধানসভা চত্বরে এই নিয়ে বড় প্রশ্ন তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু বলেন, “বাংলায় এই কালচার আগে ছিল না। স্বাধীনতার পর প্রথম তৃণমূলই এই কালচার শুরু করল। এরা দুর্গা পুজোর অষ্টমীতেও মদের দোকান খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছে।”
বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, “সরকারের কোষাগার শূন্য। তাই মদ বিক্রি করে একদিকে যুব সমাজকে সর্বস্বান্ত করা অন্যদিকে কোষাগার ভরাতে চাইছে তৃণমূলের সরকার।”
সোমবার বিধানসভায় একদিনের বিশেষ অধিবেশন ডেকেছিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কাকতালীয়ভাবে সোমবার নবরাত্রির দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ দ্বিতীয়া। অনেকেই এদিন নবরাত্রির উপোস করে থাকেন। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শুভেন্দুর দাবি, “অনেকেই বিশেষ এই দিনে উপবাস পালন করেন। তাঁদেরকে বিধানসভায় ডেকে বাঙালি হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে।”
পুজোর আগে বেশ কয়েকটি বিল পাশ করানোর জন্য এদিন ১দিনের বিশেষ অধিবেশন ডেকেছিলেন অধ্যক্ষ। সম্প্রতি গত ৭ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভার অধিবেশনে বিধায়ক ও মন্ত্রীদের বেতন বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন। ওই বেতন বৃদ্ধি কার্যকর করতে এদিন বিধানসভায় বিল আনতে চেয়েছিল শাসকদল। সূত্রের খবর, বিধায়ক মন্ত্রীদের বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিলে সই করেননি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ফলে সময়ের আগেই বিধা্নসভা মুলতুবি ঘোষণা করা হয়।
পরে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিল পেশ করার জন্য রাজ্যপালের সম্মতির প্রয়োজন পড়ে না। সেক্ষেত্রে আমরা বিলটি নিয়ে এদিন বিধানসভায় আলোচনা করতে পারতাম। কিন্তু সম্প্রতি বিধানসভার প্রাক্তন এক সদস্য মারা গিয়েছেন। তাঁর স্মরণেই বিধাসভার রীতি মেনে এদিন বিধানসভার কাজ সময়ের আগেই শেষ করা হয়।
শুভেন্দুর আনা ধর্মীয় ভা্বাবেগে আঘাত আনার জবাবে অধ্যক্ষ বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের অফিসও তো খোলা। কই সেখানের বিষয়ে তো উনি (শুভে্ন্দু) কিছু বলছেন না।” অর্থাৎ সবকিছুতে বিরোধী দলনেতা রাজনীতি করার চেষ্টা করেন, স্পিকার প্রকারান্তরে সেটাই বোঝানোর চেষ্টা করেছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।