দ্য ওয়াল ব্যুরো: টানা তিন ম্যাচ ড্র করার পর অবশেষে জয়ের মুখ দেখল আর্জেন্টিনা। কোপা আমেরিকায় গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে লাতিন আমেরিকার আরেক শক্তিশালী দল উরুগুয়েকে ১-০ গোলে হারাল তারা। নেপথ্য নায়ক লিওনেল মেসি। নিজে গোল না করলেও গোল করালেন তিনি। গোলদাতা গুইডো রডরিগেজ।
প্রথম খেলায় চিলির বিরুদ্ধে আটকে যাওয়ার পর দলের রক্ষণে চারটি বদল আনেন কোচ লিওনেল স্কালোনি। বিপক্ষের টিম লিস্টে দুই অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার লুই সুয়ারেজ ও এডিনসন কাভানি থাকায় কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি তিনি। ঘর সামলে আক্রমণে যাওয়ার রণকৌশল কার্যত সঠিক প্রমাণিত হয়৷ রেফারির বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে তেড়েফুঁড়ে আক্রমণের ঢেউ তোলে আর্জেন্টিনা। দুই স্ট্রাইকার লাউটারো মার্টিনেজ এবং নিকোলাস গঞ্জালেসের একটু পেছনে থেকে এদিন খেলতে শুরু করেছিলেন মেসি। 'ফ্রি রোলে' থাকায় বারবার উইং বদল করতে থাকেন। কখনও ডাঁয়ে। কখনও বাঁয়ে। কখনও বা মাঝবরাবর ট্রেডমার্ক দৌড়। এলএম টেনের পজিশন বুঝতেই হিমশিম খান দিয়েগো গোদিনরা।
আর এর ফলও মেলে হাতেনাতে। মাত্র ১৩ মিনিটে শর্ট কর্নারে বল রিসিভ করে বাম উইং থেকে ঠিকানা লেখা ক্রশ বাড়ান মেসি। পেছন থেকে উঠে আসা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার রডরিগেজ তা হেড করে জালে জড়াতে ভুল করেননি।
এক গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর আর্জেন্টিনার স্ট্র্যাটেজি খুব পরিষ্কার ছিল— রক্ষণের ঝাঁপ ফেলে দাও। তারপর উরুগুয়ে আক্রমণে এলেই কাউন্টার অ্যাটাকের ঝড় তোলো। বস্তুত, ঐতিহাসিকভাবে একই ফর্মুলায় দীর্ঘদিন খেলে এসেছে অস্কার তাবারেজের উরুগুয়ে। আর ডিফেন্স-আগলে বসে থাকা দলের বিরুদ্ধে তারা আধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে।
আজকেও ঠিক তেমনটাই চোখে পড়ে। সুয়ারেজ-কাভানি জুটি গোটা ম্যাচে তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। সেকেন্ড হাফে ৭৫ মিনিটের মাথায় সুয়ারেজ বাইসাইকেল কিকে একটা চেষ্টা চালালেও বল গোলমুখী ছিল না। আর্জেন্টিনা দ্বিতীয় গোল পায়নি বটে। কিন্তু মাঝমাঠে প্রায় ৯০ মিনিট ধরেই বল নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল তারা।
এই জয়ের পর দু'ম্যাচে তিন পয়েন্ট পেলেই পরের রাউন্ডে যাওয়ার টিকিট পাকা করে ফেলবে আর্জেন্টিনা। যদিও মেসি বাহিনীর লক্ষ্য হবে গ্রুপশীর্ষে থাকা। তাহলেই শেষ আটের লড়াইয়ে কলম্বিয়া, ব্রাজিলের মতো শক্তিশালী দলকে এড়ানো সম্ভব হবে। আপাতত আর্জেন্টিনার পরের প্রতিপক্ষ প্যারাগুয়ে।