শেষ আপডেট: 18th October 2024 16:58
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শুক্রবার ১৩ দিনে পা দিল জুনিয়র চিকিৎসকদের আমরণ অনশন কর্মসূচি। 'মুখ্যমন্ত্রী একবারও এলেন না কেন', এদিন ধর্না মঞ্চে সাংবাদিক বৈঠক থেকে এই প্রশ্ন তোলেন অনশনরত আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা।
যার জবাবে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। বাম জমানার মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত জ্যোতি বসুর প্রসঙ্গ টেনে জুনিয়র চিকিৎসকদের উদ্দেশে কুণাল বলেছেন, " খুব ইঙ্গিতপূর্ণভাবে নাটকীয় সুরে বলা হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী একবার আসতে পারলেন না! তাঁদের মনে করিয়ে দিতে চাই, জ্যোতি বসুর সরকারের মতো পুলিশ নামিয়ে পিটিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন তুলে দেননি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো গিয়েছিলেন স্বাস্থ্যভবনে আপনাদের ধর্না মঞ্চে।"
এদিন ধর্না মঞ্চ থেকে অনশনরত সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, সিগ্ধা হাজরারা প্রশ্ন তোলেন, "মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপুজোয় মেতে আছেন। অথচ গত ১৩ দিন ধরে আমরা শুধু জল খেয়ে আছি। অথচ আমাদের দেখতে উনি এক বারের জন্যেও এলেন না!" তাঁরা এই প্রশ্নও তোলেন, কোথায় গেল ওঁর মাতৃসত্তা?"
এর পাল্টা জবাব দিয়েছেন কুণাল। তৃণমূল নেতা মনে করিয়ে দিয়েছেন, শুধু স্বাস্থ্য ভবনে জুনিয়র চিকিৎসকদের ধর্না মঞ্চে ছুটে যাওয়ায় নয়, তাঁদের সমস্যা সমাধানে কালীঘাটের বাড়িতে, এমনকী নবান্নেও একাধিক বৈঠক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জুনিয়র চিকিৎসকদের উদ্দেশে কুণাল বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী তো আগেই আপনাদের কাছে গিয়েছিলেন। আপনারা তো ওনার কথা শোনেননি। তখন রাজনীতি করছেন। বসিয়ে রেখেছেন, অপমান করেছেন। তারপরেও তো উনি সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে চলেছেন।"
কুণাল এও বলেন, "তারপরেও আপনারা যতবার খুশি যেখানে খুশি বসে পড়বেন আর বলবেন মুখ্যমন্ত্রী একবার আসতে পারলেন না, এটা কোনও যুক্তিসঙ্গত কথা হল।"
জুনিয়র চিকিৎসকদের এই আন্দোলনের নেপথ্যে কিছু রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগ করে কুণাল বলেন, "কিছু রাজনৈতিক লোক প্ররোচনা দিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের আবেগকে বিপথে পরিচালিত করে নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা মেটানোর চেষ্টা করছে।"
অনশন প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়ে কুণাল এও বলেন, "এভাবে টানা অনশন করে নিজেদের শরীরে চাপ নেওয়া ঠিক নয়। বুঝতে হবে, আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করছে। রাজ্যও পরিকাঠামো বাড়ানোর কাজ দ্রুততার সঙ্গে করছে। অযথা জেদ করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া অর্থহীন।"
কুণালের এহেন মন্তব্য শুনে জুনিয়র চিকিৎসকদের পাল্টা প্রশ্ন, "তবে কি উনি জ্যোতি বসুর প্রসঙ্গ টেনে পুলিশ দিয়ে আন্দোলন তুলে দেওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন।"
একই সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকরা একথাও মনে করিয়েছেন, "গত ১৪ অগস্ট মাঝরাতে তো অনশন মঞ্চে হামলা চালিয়েছিল দুষ্কতীরা। আন্দোলন ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। তখন কিন্তু পুলিশ বাঁচাতে না এসে পালিয়ে গিয়েছিল।"