শেষ আপডেট: 21st October 2024 15:09
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আগামী মাসেই বাংলার ৬ কেন্দ্রে হতে চলেছে উপনির্বাচন। তার আগে নির্বাচনীবিধি ভাঙা হচ্ছে এমন অভিযোগ করে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিল রাজ্য বিজেপি। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার ভোট ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর সরকারি প্রকল্পের কাজ শুরু করছে, যা করা যায় না।
বিজেপির তরফে শিশির বাজোরিয়া মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি লিখে অভিযোগ করেছেন, ২১ অক্টোবর অর্থাৎ সোমবার থেকেই রাজ্য সরকার 'বাংলার আবাস যোজনা' প্রকল্পের তালিকা নিয়ে কাজ শুরু করেছে। সরকারের তরফে একটি বিবৃতিও পেশ করা হয়েছে যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে প্রকল্পের আওতায় পড়া প্রত্যেক ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা করে পাবে।
বিজেপির স্পষ্ট দাবি, বাংলার ৬ কেন্দ্রের জন্য উপনির্বাচন ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। দলগুলি প্রার্থী তালিকাও ঘোষণা করতে শুরু করেছে ইতিমধ্যে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকার সরকারি প্রকল্পের কাজ করতে পারে না, করলে তা অবৈধ। তাই এই ইস্যুতে যাতে কমিশন যথাযথ পদক্ষেপ নেয়, সেই আর্জি জানানো হয়েছে চিঠিতে। দাবি করা হয়েছে, কমিশন যেন রাজ্যকে এই কাজ বন্ধের নির্দেশ দেয়।
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদের মাঝেই পরের মাসে প্রথম নির্বাচন বাংলায়। ৬ কেন্দ্রে বিধানসভার উপনির্বাচন হবে। আগামী ১৩ নভেম্বর ভোট রয়েছে সিতাই, মাদারিহাট, নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর এবং তালড্যাংড়া আসনে। গণনা হবে ২৩ নভেম্বর।
গত ৯ অগস্টের ঘটনার পর থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে আন্দোলন চলছে। আরজি করের ইস্যু সারা দেশে প্রভাব ফেলেছে। তৃণমূল সরকার এবং পুলিশের ওপর মানুষের ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে বাংলার ৬টি আসনে ভোট হতে চলেছে। ঘটনা হল, আরজি কর কাণ্ডের পর বিজেপি এবং বাম দুই শিবিরই বেশ অক্সিজেন পেয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। ফলে শুধু তৃণমূল কংগ্রেস নয়, আসন বিধানসভার উপ নির্বাচন বিজেপি ও বামেদের কাছেও একটা বড় পরীক্ষা। তাই এই ভোটে মূল দেখার বিষয় শহরাঞ্চলে তৃণমূলের ভোট কমে কিনা বা গ্রামের ভোটেরই গতি প্রকৃতি কী থাকে।