শেষ আপডেট: 1st February 2024 15:31
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পুরুলিয়া: চিতাবাঘের ভয়ে কাঁটা সিমনি, জাবর, হরতান সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। এই গ্রামগুলি পুরুলিয়ার কোটশিলার সিমলি বনাঞ্চল লাগোয়া। বেশ কয়েকদিন ধরেই জঙ্গলগুলি থেকে চিতাবাঘ বেরিয়ে এসে লোকালয়ে ঢুকছে। চুপিসারে হানা দিচ্ছে গ্রামবাসীদের গোয়ালঘরে। সেখানে থেকে গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি তুলে নিয়ে যাচ্ছে।
সন্ধে নামলেই চিতাবাঘের আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বেরোচ্ছেন না স্থানীয়রা। সূর্যের আলো না ফোটা পর্যন্ত মাঠে যেতে পারছেন না কেউই। সারাদিন গোয়ালেই গবাদিপশুদের বেঁধে রাখতে হচ্ছে। এদিকে রাত পেরলেই মাধ্যমিক পরীক্ষা। গ্রামে চিতাবাঘ ঘোরাফেরা করায় তারা পরীক্ষা দিতে কীভাবে যাবে, এই নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে পরীক্ষার্থীরা। ছেলে-মেয়েদের পরীক্ষা কেন্দ্র নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবস্থা করার দাবি রেখেছেন পরীক্ষার্থীদের বাবা মায়েরা।
ঝালদা ২ নম্বর ব্লকের কর্মাধ্যক্ষ পুস্পরানি মাহাত জানিয়েছেন, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনওরকম অসুবিধা না হয় তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে কোটশিলার সিমনি গ্রামের ভেতর ঢুকে পড়ে একটি চিতাবাঘ । গোয়ালঘর থেকে গবাদি পশুকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। বাড়ির মালিক এবং গ্রামবাসীরা চিৎকার করলে জঙ্গলে পালিয়ে যায় চিতাবাঘটি । ঘটনাস্থলে বন দপ্তরের আধিকারিকরা পৌঁছায় । পরে বনদফতরের পক্ষ থেকে গ্রামবাসীদের হাতে সার্চলাইট তুলে দেওয়া হয়।
চিতাবাঘের উপর নজরদারি চালাতে তিনটি গ্রামে ৬ জন করে পাহারাদার মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে বন আধিকারিকরা রাতের দিকে স্থানীয়দের একলা বাড়ির বাইরে বেরতে সতর্ক করেছে। দু'বছর ধরে সিমনি বিটের জঙ্গলে বন দফতরের পক্ষ থেকে লাগানো ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়েছে একটি পুরুষ, একটি স্ত্রী চিতাবাঘ এবং একটি চিতাশাবকের ছবি।