Advertisement
প্রতীকী ছবি
Advertisement
শেষ আপডেট: 18 April 2025 19:21
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আগামী ২০ এপ্রিল বিগ্রেড সমাবেশ (Brigade) বামেদের। তার আগে শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে বড় দাবি করল লাল শিবির (Left Front)। তাঁরা বলছে, শুধুমাত্র উত্তরবঙ্গের জমায়েতই ১ লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে! অর্থাৎ রবিবারের ব্রিগেড যে রেকর্ড গড়তে চলেছে তার ইঙ্গিত দিয়ে রাখছেন বামেরা।
শুক্রবার শ্রমিক ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেছিল সিআইটিইউ, সারা ভারত কৃষকসভা, সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়ন এবং পশ্চিমবঙ্গ বস্তি উন্নয়ন সমিতির নেতৃবৃন্দ। তাঁদের স্পষ্ট দাবি, রাজ্যের সব জায়গা থেকে শ্রমজীবী, কৃষিজীবী এবং প্রান্তিক বস্তিবাসী মানুষ আসবেন সমাবেশে। অতীতে বামেদের ব্রিগেড যা রেকর্ড করেছে তা ছাপিয়ে যেতে পারে। সেই মতো প্রস্তুতিও চলছে বলে জানিয়েছে সংগঠনগুলি।
রাজনৈতিক মহলে অবশ্য বামেদের ভোট শতাংশ নিয়ে আলোচনা কম হয় না। বিগত বছরগুলিতে তাঁরা যে ব্রিগেড করেছে তাতে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু ভোটবাক্সে তার প্রতিফলন ঘটে না। কী তার কারণ, তা নিয়ে কাটাছেঁড়া চলেই। আর বিষয়টি নিয়ে যে দলীয় নেতারাও উদ্বিগ্ন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই এবারের ব্রিগেড নিয়ে আরও বেশি 'সচেতন' হতে চাইছে লাল বাহিনী।
সিপিএমের এ ধরণের বড় মঞ্চে সাধারণত পক্ককেশের নেতারা বক্তব্য রাখেন। এবারেও শুরুতে তার অন্যথা হয়নি। বক্তাদের তালিকায় নাম রয়েছে শুধুই প্রবীণদের। তবে রাজ্যজুড়ে কর্মীদের মধ্যে মীনাক্ষীকে নিয়ে যা উন্মাদনা তাতে শেষ মুহূর্তে বক্তা তালিকায় তাঁর নামও অন্তর্ভুক্ত করা হবে কিনা, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে দলের অন্দরেই। পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, নেতৃত্বও বুঝতে পারছেন বক্তা তালিকায় শুধু প্রবীণদের রাখলে হবে না, তরুণদেরও রাখতে হবে। তাই সম্ভবত, বক্তা তালিকায় মীনাক্ষীকেও অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। যেমন এবারে কেন্দ্রীয় কমিটিতেও জায়গা হয়েছে তাঁর।
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, অতীতে প্রতিটি ব্রিগেডের আয়োজন হয়েছে সিপিএমের তরফে। এবারে অবশ্য সরাসরি সিপিএমের ডাকে ব্রিগেড হচ্ছে না। বরং শ্রমিক ও গণ সংগঠনগুলির উদ্যোগে এই সমাবেশ হতে চলেছে। সেই ব্রিগেড আদতে কী প্রভাব ফেলতে পারে বাংলার রাজনীতিতে, সেটা দেখার বিষয়।
Advertisement
Advertisement