শেষ আপডেট: 20th November 2021 14:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো: যে হাতে রোগী (patient) দেখেন, প্রেসক্রিপশন লেখেন, অসুস্থকে সারিয়ে তোলেন, সেই হাতেই পাহাড়ি রাস্তায় বাইক (bike) চালিয়ে পৌঁছে গেলেন দেশের সবচেয়ে উঁচু লেকে (highest lake)। প্রায় ১৮ হাজার ফুট ওপরে সিকিমের গুরুদংমার লেকে। তিনি এক মহিলা ডাক্তার (lady doctor)। কলকাতার মনিকা সাহা। দক্ষিণ কলকাতার বাঙ্গুর হাসপাতালের করোনা আইসিইউয়ের এই মহিলা ডাক্তারের নেশা বাইক চালিয়ে দুর্গম জায়গায় সফর করা।
ডাক্তারি পেশায় তাঁর হাতেখড়ি হয় করোনা হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে। বাবা প্রবীণ সার্জন মাখনলাল সাহা। গুরুতর চোট পেয়ে দুচাকার বাহন চালানো সাময়িক বন্ধ ছিল। কিন্তু বরাবরই চ্যালেঞ্জ নিতে ভয় পান না মনিকা। তাই সেরে উঠে ফের শুরু করেন নেশার সফর। দু'চাকার হাতেখড়ি হয় বাবার হাত ধরেই। করোনা আবহেই সিকিমের গুরুদাংমার লেকে যাওয়ার প্ল্যান করেন। ১৭৮০০ ফুট উচ্চতা। যাত্রা শুরু করেন ৭ নভেম্বর। কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি। সেখান থেকে গ্যাংটক। গ্যাংটক থেকে লাচেন। সেখান থেকে গুরুদংমার লেক।
‘বাইক চালানোর অনুভূতিই আলাদা, একটা অন্যরকম মাদকতা, যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। সেটাই আমাকে বাইকের সঙ্গে একাত্ব করে তোলে।‘ বলেছন মনিকা।
তবে সিকিম সফরের আগে ছিল সলতে পাকানোর পর্ব। কলকাতার বিভিন্ন বাইক ক্লাব আর গোষ্ঠীর সদস্য হন। প্রথমে দল বেঁধে বিভিন্ন দুর্গম জায়গায় বাইক নিয়ে অভিযান। সেখানে সফল হয়ে সিকিম অভিযানের টার্গেট। যত সময় এগিয়েছে, বড় চ্যালেঞ্জ নেওয়ার মানসিক শক্তি পেয়েছেন মনিকা।
পাহাড়ি রাস্তা, দুর্গম পথ পেরতে হলেও মনোবল অটুট ছিল মনিকা আর তাঁর সঙ্গী সুপ্রতিম পোদ্দারের। পথে যেতে যেতে দুজনের সাংঘাতিক অভিজ্ঞতা হয়। ঠাণ্ডায় গাড়ি থেমে যাচ্ছিল। একে অপরের গাড়ি ঠেলেন।
অবশেষে লক্ষ্যে পৌঁছন দুজনেই। তরুণী চিকিৎসক জানান, “সে এক অন্য রকমের অনুভুতি। জীবনে প্রথম এত উঁচুতে ওঠার টার্গেট স্থির করে তা ছুঁতে পেরে পেরে সত্যি প্রচন্ড ভাল লাগছিল। এ যেন অনেকটা, কোনও সঙ্কটজনক রোগীকে বাঁচাতে পারার আনন্দ।’’