শেষ আপডেট: 20th June 2024 17:50
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নিয়োগ দুর্নীতি মামলার নাম করে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল আগেই। এবার এ ব্যাপারে একটি গ্রুপের পোস্ট সামনে এনে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের দাবি জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
টুইটে কুণাল একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কিছু কথোপকথনের স্ক্রিন শট পোস্ট করেছেন। সঙ্গে লিখেছেন, "শিক্ষা সংক্রান্ত চাকরি মামলা দেখিয়ে কিছু ব্যক্তি বিপুল টাকা তুলছেন বলে অভিযোগ। একটি গ্রুপের পোস্টে তার ইঙ্গিত স্পষ্ট। এসব কথা আগেও কানে এসেছে। বহু সংখ্যক কর্মপ্রার্থীর কাছ থেকে মামলার নামে বিপুল টাকা তোলার কথাগুলি সত্য কিনা জানতে তদন্ত হোক। অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে জেরা দরকার।"
কী রয়েছে কুণালের পোস্ট করা স্ক্রিন শটে? '২০১৪ বঞ্চিত টেট পাশ (হাওড়া)' শীর্ষক ওই গ্রুপে একজন লিখেছেন- একজন ল ইয়ার আমার পরিচিতর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়েছে কেসের জন্য। তাঁকে সমর্থন জানিয়ে আর একজন লিখেছেন, ফিরদৌসের কাছে গিয়েছিলাম। বলছে ২৫ কে (হাজার) দাও হয়ে যাবে! আমি কথা না বাড়িয়ে বেরিয়ে এলাম!
আরেকজন লিখেছেন-কেস করতে গিয়ে ১ লক্ষ জলে গেল!"
শিক্ষা সংক্রান্ত চাকরি মামলা দেখিয়ে কিছু ব্যক্তি বিপুল টাকা তুলছেন বলে অভিযোগ। একটি গ্রুপের পোস্টে তার ইঙ্গিত স্পষ্ট। এসব কথা আগেও কানে এসেছে। বহু সংখ্যক কর্মপ্রার্থীর কাছ থেকে মামলার নামে বিপুল টাকা তোলার কথাগুলি সত্য কিনা জানতে তদন্ত হোক। অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে জেরা দরকার। pic.twitter.com/t4W8Ry4HEj
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) June 20, 2024
কুণালের পোস্ট থেকে স্পষ্ট, কিছু আইনজীবীকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। এই ফিরদৌস বলতে কাকে বোঝাতে চেয়েছেন? কুণালের কথায়, "চাকরিপ্রার্থীদের একাধিক গ্রুপে এরকম বহু পোস্ট ঘুরে বেড়াচ্ছে। যেখানে স্পষ্টভাবে বলা হচ্ছে- নিয়োগ দুর্নীতি মামলাকে দেখিয়ে চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এটাও তো এক ধরনের দুর্নীতি। আমি চাই, তদন্তকারীরা সত্যিটা খুঁজে বের করুক। সেজন্যই এই পোস্ট।"
তৃণমূল মুখপাত্রের এহেন পোস্টকে ঘিরে কমেন্ট বক্সে উঠে এসেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকে যেমন কুণালের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছেন তেমনই অনেকের আশঙ্কা, প্রকৃত চাকরি চোরদের বাঁচাতে নতুন করে পুরো বিষয়টাকে গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার অভিযোগে ২০২২ সালের ২৩ জুলাই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিল ইডি। সেই থেকে জেলবন্দি পার্থ। পরে শিক্ষা দফতরের একাধিক প্রাক্তন পদস্থ কর্তাকেও গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা।
গত ২২ এপ্রিল ওই মামলার রায় দিতে গিয়ে ২০১৬-র এসএসসির পুরো প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীর ভবিষ্যত প্রশ্নের মুখে দাঁড়ায়। শীর্ষ আদালত অবশ্য ওই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়ে তদন্তকারী সংস্থা্কে যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ১৬ জুলাই। তার আগে কুণালের এই পোস্ট ঘিরে নতুন করে শোরগোল তৈরি হয়েছে।