কুণাল ঘোষ ও শুভেন্দু অধিকারী।
শেষ আপডেট: 31 December 2024 14:18
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত কয়েক মাস ধরেই অস্থির পরিস্থিতি বাংলাদেশে। এমনকী বাংলাদেশ-বিরোধী মন্তব্য করার জেরে
বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠনগুলির নিশানায় রয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।
সম্প্রতি এ ব্যাপারে বিরোধী দলনেতাকে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সতর্ক করা হয়েছে রাজ্য পুলিশ ও কলকাতা পুলিশকে। তারপরই মঙ্গলবার রাজ্য পুলিশের আপত্তি উড়িয়ে শুভেন্দু যেভাবে সন্দেশখালিতে সভা করেছেন, তাতে বিরোধী দলনেতার নিরাপত্তা নিয়ে এবার বড় প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
কুণালের কথায়, "শুভেন্দু কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পান, ফলে ওর নিরাপত্তার বিষয়টি পুরোটাই কেন্দ্রের বিষয়। কিন্তু যখন জঙ্গিদের টার্গেটে রয়েছেন, তখন সভা করার আগে প্রোটোকল মেনে যথাযথভাবে নিরাপত্তার অনুমতি নেওয়া উচিত ছিল।"
একই সঙ্গে কুণাল এও বলেন, "এভাবে অনুমতি না নিয়ে এত লোকের মাঝে সভা করা ঠিক হয়নি। রাজ্য পুলিশের নিষেধাজ্ঞা মেনে চলা উচিত ছিল। কারণ, কিছু হলে তখন বলবে রাজ্য পুলিশ কেন নিরাপত্তা দেয়নি।"
এব্যাপারে বিরোধী দলনেতার কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। তবে একান্ত আলাপ চারিতায় বিজেপির রাজ্যস্তরের একাধিক নেতা কুণালের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছেন। তাঁদের কথায়, "জঙ্গিদের তরফে যেহেতু হুমকি দেওয়া হয়েছে, তাই এখন সভা করার ক্ষেত্রে বিরোধী দলনেতার আরও সতর্ক হওয়া উচিত।"
একই সঙ্গে এদিন সন্দেশখালি থেকে শুভেন্দুর 'পরিবর্তনের ডাক'কে তীব্র কটাক্ষ করে কুণাল বলেন, "কুঁজোরও শখ হয় চিৎ হয়ে শোওয়ার আর গামছারও ইচ্ছে হয় ধোপা বাড়ি যাওয়ার! বিজেপি যেভাবে বাংলায় একের পর এক ভোটে হারাটাকে অভ্যাসে পরিণত করে নিয়েছে, তাতে ওরা এরকম আকাশকুসুম স্বপ্ন দেখতেই পারেন। কিন্তু বাংলার মানুষ ওদের সেই স্বপ্ন পূরণ হতে দেবে না।"
সম্প্রতি এক জনসভায় বাংলাদেশকে কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রের খবর, এরপরই শুভেন্দু অধিকারীর উপর হামলার ছক কষেছে সেদেশের একাধিক জঙ্গি সংগঠন। বাংলাদেশের দুই জঙ্গি সংগঠন, হারাকত-উল-জিহাদ-আল-ইসলামি ও হিজব-উত-তাহির, এই হামলার ছক কষেছে বলে দাবি। জানা গেছে, তিনজন বাংলাদেশি দুষ্কৃতীকে এই হামলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।