শেষ আপডেট: 22nd June 2024 18:14
দ্য ওয়াল
মানিকতলায় উপনির্বাচনের আগে শাসক দলের বিড়ম্বনা! কুমোরপাড়ায় প্রতিমা পিছু টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। 'তোলাবাজি'-র অভিযোগ নিয়ে দলীয় বৈঠকে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। কাউন্সিলরদের সমস্যা মেটানোর নির্দেশ দিয়েছেন কুণাল।
অভিযোগ, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে কুমোর পাড়ায় তোলাবাজির জেরে জেরবার ব্যবসায়ীরা। এই নিয়ে মানিকতলা উপনির্বাচ
মানিকতলায় উপনির্বাচনের আগে শাসক দলের বিড়ম্বনা! কুমোরপাড়ায় প্রতিমা পিছু টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। 'তোলাবাজি'-র অভিযোগ নিয়ে দলীয় বৈঠকে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। কাউন্সিলরদের সমস্যা মেটানোর নির্দেশ দিয়েছেন কুণাল।
অভিযোগ, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে কুমোর পাড়ায় তোলাবাজির জেরে জেরবার ব্যবসায়ীরা। এই নিয়ে মানিকতলা উপনির্বাচনের প্রচারে দলের বিরুদ্ধে তোলাবাজি নিয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন কুণাল। অবিলম্বে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। কর্মিসভায় কুণাল সতর্ক করেন, "অভিযোগ এলে মানুষ বিরক্ত হয়ে অন্য কাউকে ভোট দেবে।"
কুণালের বক্তব্যের যে ভিডিও সামনে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে কাউন্সিলরের উদ্দেশ্যে তৃণমূল নেতা স্পষ্টতই বলছেন, “ক্যানেল ইস্ট রোড থেকে অভিযোগ এসেছে। আমাদের সঙ্গে থাকা দু’একজন কোনও অন্যায় আবদার করছে। দরকার হলে তুমি তাঁদের সঙ্গে কথা বলে নাও। কারও মনে যেন এতটুকু ক্ষোভ না থাকে। এর প্রভাব যেন উপনির্বাচনে না পড়ে, যেন কেউ রাগ দেখিয়ে না ফেলেন।" শুধু তাই নয়, যাদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তাঁরা সতর্ক না হলে আইনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন কুণাল।
লোকসভা নির্বাচনে প্রত্যাশা ছাপিয়ে বড় সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল। কিন্তু কলকাতার ৪২ থেকে ৪৬টা ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। শহরাঞ্চলের মানুষ মুখ ঘোরাচ্ছে শাসকদলের থেকে, এই চিন্তা ভোগাচ্ছে ঘাসফুল শিবিরকে। এরই মধ্যে দলে তোলাবাজি নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
বেশ কয়েকদিন আগে মানিকতলা বিধানসভা এলাকারই একটি আবাসনে স্থানীয় তৃণমূলের লোকজনের ‘তাণ্ডব’ চালানোর অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনা নিয়ে ভোটের ফল ঘোষণার পর দলীয় বৈঠকে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার নির্দেশেই কুণাল এবং স্থানীয় কাউন্সিলর শান্তিরঞ্জন কুন্ডু ওই আবাসনে গিয়ে পরে আবাসিকদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করে এসেছিলেন।
আবার শনিবারই সুব্রত বক্সী দক্ষিণের দুই কাউন্সিলরকে শো-কজও করেছেন। তারই মধ্যে কুণালের এই সতর্কবাণী যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। যদিও কুনালের বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “কোথায় তোলাবাজি হচ্ছে আমি জানিনা। আমি জানি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তোলাবাজি আটকায় বিশেষ করে কলকাতায়। তোলাবাজি কাউন্সিলরের দেখার কথা না। প্রশাসনের দেখার কথা। প্রশাসন অত্যন্ত কঠোরভাবে তা দেখছে।