শেষ আপডেট: 1st March 2024 14:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: লোকসভার ভোটের আগে বাংলায় তাঁর প্রথম প্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমন দিনে শাসক দলের যখন সমষ্টিগত মোকাবিলা করার কথা, তখন দেখা গেল তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র কুণাল ঘোষ গোঁসা ঘরে তালা দিয়েছেন। তাঁর ফোন সকাল থেকে নট রিচেবল। সোশাল মিডিয়ার বায়োতে তৃণমূলের মুখপাত্র ও দলীয় পরিচয় মুছে দিয়েছেন। ছেড়ে দিলেন রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তাও।
কুণালের ব্যাপার স্যাপার বরাবরই নাটকীয়। তাঁর এই নব্য অভিমানের আগের একটা ঘটনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে কুণাল একটি টুইট করেছিলেন। তাতে তিনি লিখেছিলেন, “নেতা অযোগ্য গ্রুপবাজ স্বার্থপর। সারাবছর ছ্যাঁচড়ামি করবে আর ভোটের মুখে দিদি, অভিষেক এবং দলের প্রতি কর্মীদের আবেগের উপর ভর করে জিতে যাবে, ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি করবে, সেটা বারবার হতে পারে না”।
কুণাল কারও নাম করেননি। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ জনেরা বলছিলেন, ‘গত কয়েকদিনে বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু কথা বলে বেড়াচ্ছেন। দাদা চুপ করে থাকবেন না’।
এ ব্যাপারে কুণালকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “কার উদ্দেশে বলেছি তা এখনই বলব না। পড়েছে কথা সবার মাঝে, যার উদ্দেশে কথা তার গায়ে ঠিক বাজবেই। দলের লোকেরাও বুঝতে পারবে। বাকি ঠিক সময়ে বলব।”
তবে কুণালের ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, এই অভিমানের মৌলিক কারণ দুটো। ১০ মার্চ শাসক দলের ব্রিগেড রয়েছে। সেই সভার জন্য এখন জেলা ধরে ধরে সাংগঠনিক বৈঠক চলছে। বৃহস্পতিবার দলের উত্তর কলকাতা সাংগঠনিক জেলার বৈঠক ছিল। এই সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হলেন কুণাল ঘোষ। সূত্রের খবর, কুণাল দলের রাজ্য সম্পাদক এবং উত্তর কলকাতার নেতা হলেও ওই বৈঠকে তাঁকে ডাকা হয়নি।
কুণালের অভিমানের এখানেও শেষ নয়। গত প্রায় তিন বছর ধরে তিনি পূর্ব মেদিনীপুরে সাংগঠনিক দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরে সাংগঠনিক বৈঠক রয়েছে, সেখানেও তিনি ডাক পাননি। তার পরই এদিন সকালে তাঁর টুইটার বায়ো থেকে তণমূল মুখপাত্রের পরিচয় মুছে দেন কুণাল। তার পর পুলিশি নিরাপত্তাও ছেড়ে দেন। তবে দলকে জানিয়েছেন, তণমূল ছেড়ে তিনি যাচ্ছেন না। দল ডাকলে দরকার মতো কাজ করে দেবেন।