শেষ আপডেট: 5th October 2024 23:43
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ১০ দফা দাবি তুলে রাজ্য সরকারকে 'ডেডলাইন' দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আরজি কর ইস্যুতে আন্দোলনকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যেতে আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। শনিবার থেকে সেই অনশন তাঁরা শুরু করেছেন। অভিযোগ, সরকারের তরফে কোনও সদুত্তর আসেনি। কিন্তু তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ায় 'তথ্য' দিয়ে দাবি করেছেন, তৃণমূল জমানায় রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ঠিক কতটা উন্নতি হয়েছে। খোঁচা দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারদেরও।
কুণালের স্পষ্ট দাবি, বাম জমানার তুলনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সময় ঢেলে সেজেছে রাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। তৃণমূল নেতার খোঁচা, ''যারা পরিকাঠামো নিয়ে ডেডলাইন পলিটিক্স করছেন তাঁরা অতীত থেকে ৩৪ বছরের বাম জমানা পর্যন্ত আর তারপর থেকে এখন পর্যন্ত তুলনা দেখুন।''
তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সাল পর্যন্ত রাজ্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৩৬০টি। ২০২৪ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৮৯টি। এদিকে, ২০১১ সালে রাজ্যের মোট সরকারি বেড ছিল ৫৮ হাজার ৬৪৭টি। বর্তমানে সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭ হাজার। কুণাল এও বলছেন, ২০১১ সালে এমবিবিএস-র জন্য বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ৩৫৫টি সিট। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৫ হাজার ৩২৫টি। আবার ২০১১ সালে এমডি-র আসন ছিল মাত্র ৯০০। ২০২৪ সালে যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৭৭টি।
একটু পড়ে দেখুন।
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) October 5, 2024
Figures of health infrastructure in Bengal.
Comparison between 2011 and 2024. pic.twitter.com/053Nefp9nN
শুক্রবার জুনিয়র ডাক্তাররা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের দাবি পূরণ না হলে আমরণ অনশন শুরু করবেন। সেই সময়সীমা পার হতেই অনশন শুরু করেছেন তাঁরা। সাংবাদিক বৈঠকে তাঁরা জানিয়েছেন, প্রথম দফায় ৬ জন জুনিয়র ডাক্তার অনশনে বসছেন। যদিও এই ছ'জনের মধ্যে আরজি কর হাসপাতালের কেউ নেই। আর অনশনের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ধর্না মঞ্চে সিসিটিভি বসাবেন তাঁরা।
অনশন করতে করতে কেউ অসুস্থ হলে দায় কার? এই প্রশ্নের উত্তরে জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, কারও কিছু হলে তার দায় পুরোপুরি রাজ্য সরকারকেই নিতে হবে। এখন তাঁরা দুটি শর্তেই এই অনশন তুলতে পারেন। এক, সব দাবি মানা হলে আর দুই, তাঁদের মৃত্যু হলে!