শেষ আপডেট: 3 March 2024 22:38
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তাঁর একের পর এক নির্দেশ আলোড়ন ফেলেছিল বাংলায়। চাকরিপ্রার্থীরা আশ্বস্ত হয়েছিলেন ঠিকই কিন্তু শাসক দলের রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে। তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সব কাজ করছেন, যাবতীয় নির্দেশের পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে, এমন অভিযোগ করেছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষরা। এখন সত্যি সত্যিই যখন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পদ ছেড়ে রাজনীতিতে আসার কথা বলছেন তখন সেই আক্রমণের ঝাঁঝ আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এবং কুণাল ঘোষের মধ্যে যেন কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলেছে। একজন শ্লেষাত্মক আক্রমণ করলেই অন্যজনের ওষুধ তৈরি। যদিও মুখোমুখি সাক্ষাতের সময়ে কুণাল ঘোষ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সৌজন্য বিনিময় করেছেন বটে। নিজের কর্মজীবনের বিদায়বেলাতেও বিচারপতি সেই সৌজন্যতা বজায় রেখেছেন। কুণাল ঘোষ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তর দেন, ''একজন অত্যন্ত ভাল মানুষ! আমার চেম্বারে বসে ওঁর সঙ্গে আমার দীর্ঘ কথাবার্তা হয়েছে। রাজনীতির বিষয়ে নয় অন্য বিষয়ে। আমার মনে হয়েছে উনি অত্যন্ত ভাল মানুষ।'' তবে এর পাল্টা কুণাল ঘোষ তাঁকে দুটি প্রশ্ন করেছেন। বুঝে নিতেই হবে, সেই প্রশ্নেও খোঁচা রয়েছে।
আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবারই বলেছেন, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পদক্ষেপ প্রমাণ করে তিনি এতদিন যে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কুণালেরও একই সুর। তিনি বিচারপতিকে যে প্রশ্নদুটি করেছেন তার মধ্যে প্রথম, ''ধরে নেওয়া যায় তিনি তৃণমূল বিরোধী কোনও দলেই যোগ দেবেন। তাই তাঁর এতদিনের যে রায়, সিদ্ধান্ত তা যে পূর্বপরিকল্পিত এবং তৃণমূল বিরোধী তা প্রমাণিত হবে। আগের রায়, সংলাপের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন থাকবে।''
রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকবে।
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) March 3, 2024
কিন্তু অন্য গুরুত্বপূর্ণ পেশা থেকে যদি কেউ রাজনীতিতে আসেন, তাহলে সংসদীয় গণতন্ত্রের রাজনীতিতে তা স্বাস্থ্যকর বা ইতিবাচক।
একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে স্বাগত জানাচ্ছি। নতুন ইনিংসের শুভেচ্ছা।
তবে বিশেষ করে এই পেশার কেউ রাজনীতিতে এলে, তাঁর আগের পেশাগত…
কুণালের দ্বিতীয় প্রশ্ন, ''যে দলেই যান, সেখানে দুর্নীতি বা অন্য কোনো অভিযোগ থাকবেই। সেগুলো তখন মেনে নিতে পারবেন তো?'' যদিও প্রশ্নবাণের পরও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি কুণাল ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, ''বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে নতুন ইনিংসের শুভেচ্ছা। সমাজের এক বিশিষ্ট ক্ষেত্রের একজন, বিশেষ করে বিচারপতি রাজনীতিতে এলে ভালো।''