শেষ আপডেট: 15th January 2025 20:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ‘বয়কট’ তর্কে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ খোলার পর পাল্টা বিবৃতি দিলেন কুণাল ঘোষও।
বুধবার সকালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি যত দূর চিনি, তিনি বয়কট, ভেঙে দাও-গুঁড়িয়ে দাওয়ের রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না। যদি করতেন, তা হলে এক সময়ে যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন, তাঁরা দলে ফিরতে পারতেন না।”
অভিষেক কারও নাম করেননি। তবে অনেকের মতে, নাম না করে কুণালকেই বার্তা দিতে চেয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। সারদা মামলায় জেলে থাকাকালীন একাধিকবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছিলেন কুণাল। মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতারের দাবিও তুলেছিলেন। বলেছিলেন, "সারদার সবচেয়ে বড় বেনিফিশিয়ারির নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রেফতার করতে হলে সবার আগে মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা উচিত।’’
সন্ধেয় এ ব্যাপারে সাংবাদিক বৈঠক থেকে কুণাল বলেন, "আমি মনে করি না অভিষেক আমাকে ইঙ্গিত করে কিছু বলেছেন"। কৌশলগতভাবে কুণাল বলেন, "অভিষেক ঠিকই বলেছেন। তৃণমূল বয়কটের রাজনীতি করে না। কিন্তু আরজি কর ইস্যুতে যে শিল্পীরা মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল সম্পর্কে কুৎসা ছড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন, বাংলার তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা তাঁদের কোনও অনুষ্ঠানে ডাকবেন না”।
এরপরই দলে নিজের অবস্থান বোঝাতে অনেক পুরনো কথার অবতারণাও করতে দেখা গিয়েছে কুণাল ঘোষকে। তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্রর কথায়, "১৯৯৩ সালের ২১ জুলাইয়ের কথা অভিষেক নিশ্চয়ই ভুলে যায়নি। সেদিন রক্তাক্ত মমতাদিকে পুলিশের গাড়ি থেকে আমার গাড়িতে তুলে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলাম"।
এমনকী ২০১১ সালের ২১ জুলাই ব্রিগেডের মঞ্চে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থানের প্রসঙ্গও টেনে এনে কুণালের দাবি, "সেদিন যুবার সভাপতি হিসেবে নেত্রীর নির্দেশে অভিষেকের নামটা আমিই ঘোষণা করেছিলাম।"
পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, কুণাল বোঝাতে চেয়েছেন দলে তাঁর অবদানও কম নেই।
এর আগে বয়কট ইস্যুতে কুণালের বার্তাকে 'দলের বার্তা নয়' বলে জানিয়ে সংবাদ মাধ্যমের উদ্দেশে অভিষেক পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন, ‘এ ব্যাপারে দলনেত্রী কিছু বলেছেন? আমি সাধারণ সম্পাদক হিসাবে কিছু বলেছি? আপনারা কোনও নোটিস দেখেছেন?'
এদিনও প্রকারন্তের সেই অবস্থানেই অনড় থেকেছেন অভিষেক। পাল্টা হিসেবে কুণালও এদিন নিজের অবস্থানে অনড় থেকে জানিয়ে দিয়েছেন, "আমি আগেও বলেছি, মমতা’দি বলে দিন যে আমি ভুল বলছি, মেনে নেব। কিন্তু এখনও তাঁর কোনও বার্তা আসেনি। তাই নেত্রী কী ভাবছেন, সেটা অন্য কারও মুখ থেকে শুনব না।’’
এই অন্য কারও বলতে কুণাল নাম না করে অভিষেককেই ইঙ্গিত করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এখন দেখার, এই ইস্যুতে অভিষেক পাল্টা কিছু বলেন কিনা।