শেষ আপডেট: 7th March 2025 17:21
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কুমোরটুলি কাণ্ডে (Kumartuli Case) মা আরতি ঘোষ এবং মেয়ে ফাল্গুনী ঘোষকে গ্রেফতার করে ইতিমধ্যে একাধিক তথ্য জানতে পেরেছে পুলিশ (Police)। মধ্যমগ্রামে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণও করা হয়েছে। এদিকে যে পুকুরে অস্ত্র ফেলে দেওয়া হয়েছিল সেখানে ডুবুরি নামিয়ে তা উদ্ধারও করেছে পুলিশ। এবার তাঁদের হাতে এসে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। পিসি শাশুড়িকে খুনের পর তাঁর নামেই গয়নার দোকানে (Jewellery Shop) বিল করিয়েছিলেন ফাল্গুনী!
পুলিশকে ফাল্গুনী জেরায় জানিয়েছিলেন, রাগের বশে পিসি শাশুড়িকে খুন করেছিলেন তিনি। কিন্তু একে একে যে তথ্য জানতে পারছেন তদন্তকারীরা, তাতে মনে হচ্ছে রাগের বশে নয়, পরিকল্পনা করেই সুমিতাকে খুন করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার কুমোরটুলিতে ঘটনার পুনর্নির্মাণের পর মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ বউবাজারের একটি সোনার দোকানে গেছিল। জানা গেছে, সেই দোকানে সুমিতার গায়ের গয়না বিক্রি করেছিলেন মা-মেয়ে। পরে অন্য একটি দোকানে নতুন গয়নার অর্ডার দেন, যার বিল করিয়েছিলেন সুমিতার নামে।
সূত্রের খবর, সুমিতাকে হত্যা করার পর তাঁর গায়ের সব গয়না খুলে নেন ফাল্গুনী এবং আরতি। তারপর এই সোনার দোকানেই তা বিক্রি করেন। তাঁরা ৪০ থেকে ৪২ হাজার টাকা পেয়েছিলেন ওই গয়না বিক্রি করে। এরপর অন্য একটি দোকানে প্রায় ২ লক্ষ টাকার গয়নার অর্ডার দেন তারা! সেই বিল সুমিতার নামে করা হয়। শুধু তাই নয়, সুমিতার মোবাইল থেকে অনলাইনে ৫০ হাজার টাকা অগ্রিম জমাও দিয়েছিল মা ও মেয়ে।
যে সময়ে আরতি এবং ফাল্গুনী সোনার দোকানে এইসব করছেন, সেই সময়ে সুমিতার মৃতদেহ মধ্যমগ্রামের সেই বাড়িতেই পড়ে! তবে তখনই তা টুকরো করে ট্রলি ব্যাগে ভরা হয়েছিল কিনা, সে ব্যাপারে নিশ্চিত নয় পুলিশ। শুধু অনুমান, কোন রকমে পরের দিনটি পার করতে চেয়েছিলেন মা-মেয়ে। তাহলে কেউ জানতে চাইলে বলে দেওয়া সহজ হত, সুমিতা আগের রাতে অসম চলে গেছেন।
সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে কুমোরটুলি তথা মধ্যমগ্রাম কাণ্ডে গত সোমবারই বড় তথ্য পুলিশের হাতে এসেছিল। জানা গিয়েছিল, পিসি শাশুড়ি সুমিতা ঘোষ খুনে একটি নয়, দুটি ট্রলি ব্যবহার করা হয়েছে। তারপরই ধৃতদের জেরা করে মধ্যমগ্রামে তাদের বাড়ি সংলগ্ন একটি পুকুরে ডুবুরি নামিয়ে খুনে ব্যবহৃত বটি এবং হাতুড়়ি উদ্ধার করে পুলিশ।