ঘটনাস্থলে পুলিশ
শেষ আপডেট: 20th October 2024 15:44
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কৃষ্ণনগরে ছাত্রীর মৃত্যুর রহস্যে যবনিকা টানতে ঘটনার সময়ের ১ ঘণ্টা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে পুলিশ। শনিবার প্লেস অফ অকারেন্স, যার বাংলা করলে দাঁড়ায় যে স্থানে ঘটনার ঘটেছে সেই জায়গায় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিক ময়নাতদন্তে চিকিৎসকরা ছাত্রীর মৃত্যুর আগে অগ্নিদগ্ধ হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আর প্লেস অফ অকারেন্সে যদি কোনও বিভ্রান্তি থাকে, তাহলেই এহেন পরিদর্শন করার রীতি আছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
মৃতার পরিবারের বয়ান, একাধিক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট, সিসিটিভি ফুটেজ, প্লেস অফ অকারেন্স, একের সঙ্গে অপরকে জুড়ে নিয়ে মিলিয়ে দেখতে গিয়েই কিছুটা হোঁচট খাচ্ছেন তদন্তকারীরা। খটকা কাটাতে তাই তাঁরা মনে করছেন ঘটনার দিন রাত ১০টা ১২ থেকে ১১টা ১২ মিনিট— এই এক ঘণ্টায় কী কী ঘটেছিল সেটা স্পষ্ট হলেই তদন্তে গতি আসবে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্তকারীরা বলছেন সেখানে কেরোসিন জাতীয় তরল রাখা বোতল আর দেশলাই পাওয়া গেছে। ছাত্রীর দেহও দগ্ধ ছিল। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট মোতাবেক যদি জীবিত অবস্থাতেই ছাত্রীর গায়ে আগুন লাগানো হয় থাকে, তাহলে আর্তনাদ বা ছটফটানি মতো কোনও চিহ্ন সেখানে পাওয়া যাচ্ছে না।
এসব যেমন জোর খটকা, তেমনি তদন্তকারীদের ভাবাচ্ছে যে হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসে আত্মহত্যা করছেন বলে লেখা পাওয়া গিয়েছিল, সেটাও কি ছাত্রী নিজে লিখেছেন নাকি অন্য কারও কাজ, সেটাও সমান ভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
তাছাড়া কিছু প্রশ্নও ফেলে দিতে পারছেন না তদন্তকারীরা। যেমন—
১। কলেজ মাঠে অন্য এক তরুণের সঙ্গে ছাত্রীকে দেখা গিয়েছিল। সেখানে কীভাবে তিনি গিয়েছিলেন?
২। মৃত ছাত্রীর পরিবার বলছে অভিযুক্ত ঘটনার দিন কৃষ্ণগর নয়, রানাঘাটে ছিলেন। সেদিন অভিযুক্তের অর্থাৎ প্রেমিকের মোবাইলে ছাত্রী একাধিকবার ফোন করেছিলেন। সেই কথাবার্তা কি এমনিই নাকি কোনও গণ্ডগোল হয়েছিল?
৩। মৃতার সঙ্গে অভিযুক্তের সম্পর্কের মাঝে কেউ ঢুকে পড়েছিলেন নাকি ধারের টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটি?
৪। অভিযুক্ত বারবার দাবি করছে, ঘটনার দিন মৃতার সঙ্গে দেখাই হয়নি। এদিকে দু'জনের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন প্রায় একই জায়গায় পাওয়া গেছে। আদৌ কি তাদের মধ্যে দেখা হয়েছিল?