শেষ আপডেট: 17 June 2023 05:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ছাত্রমৃত্যুর জন্য কুখ্যাত কোটাতে পড়ুয়াদের আত্মহত্যা (Kota NEET student suicide) লেগেই রয়েছে। গত মঙ্গলবারই প্রকাশিত হয়েছে ডাক্তারির প্রবেশিকা সর্বভারতীয় নিট পরীক্ষার ফল। তাতেই প্রত্যাশা মতো ফল হয়নি বিহারের সমস্তিপুরের বাসিন্দা রোশনের। তারপরেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলেন কোটার পড়ুয়া ২১ বছর বয়সি ওই ছাত্র।
রোশন এবং তাঁর ভাই সুমন, দুজনেই কোটার পড়ুয়া। নিট পরীক্ষায় ভালো ফল করার জন্য সমস্তিপুর থেকে কোটায় এসে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন দুই ভাই । যদিও দুজনে আলাদাই থাকতেন বলে সূত্রের খবর। রোশন থাকতেন মহাবীর নগর থানা এলাকার একটি হোস্টেলে। ওই এলাকারই অন্য একটি হোস্টেলে থাকতেন সুমন। জানা গেছে, গত বছরেও নিট পরীক্ষা দিয়েছিলেন রোশন। কিন্তু উত্তীর্ণ হতে পারেননি তিনি। তারপর ফের পুরো মাত্রায় প্রস্তুতি নিয়ে এই বছর পরীক্ষায় বসে ছিলেন যার ফল প্রকাশিত হয় মঙ্গলবার। তাতে ৭২০-র মধ্যে ৪০০ পেয়েছিলেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষার ফল প্রকাশের সময় দিল্লিতে কাকার বাড়িতে গিয়েছিলেন ওই ছাত্র। বৃহস্পতিবার সকালে কোটায় হোস্টেলে ফিরে আসেন তিনি। ফোনে মায়ের সঙ্গে কথাও হয় তাঁর। কিন্তু পরে যখন বাড়ির লোকজন ফোন করেন, তখন রোশনের ফোন বেজে বেজে কেটে যায়। এরপরেই সন্দেহ হওয়ায় সুমনকে রোশনের হোস্টেলে গিয়ে দেখে আসতে বলেন বাড়ির লোকজন।
সুমন গিয়ে হোস্টেলের তিন তলার ঘর থেকে দাদার ঝুলন্ত মৃতদেহ আবিষ্কার করেন। সঙ্গে সঙ্গে রোশনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত ছাত্রের ঘর থেকে পুলিশ কোনও আত্মহত্যার নোট পায়নি বলেই জানিয়েছে। ওই ছাত্র পরীক্ষার খারাপ ফলের কারণে আত্মহত্যা করেছেন বলেই প্রাথমিক তদন্তে অনুমান।
শুক্রবার বিকেলে কোটায় এসে পৌঁছান রোশনের বাড়ির লোকজন। তাঁদের হাতে ময়নাতদন্তের পর ওই ছাত্রের দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনায় ইতিমধ্যেই সিআরপিসির ১৭৪ ধারায় একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মেডিকেল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য প্রতিবছরই দেশের নানা রাজ্য থেকে পড়ুয়ারা রাজস্থানের কোথায় বিভিন্ন কোচিং ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন। কিন্তু প্রতিবছরই অজস্র ছাত্রছাত্রী আত্মহত্যা করেন এখানে, যার পিছনে কোচিং সেন্টারগুলির অমানুষিক চাপই প্রধান কারণ বলে অভিযোগ। গত ছয় মাসে এই নিয়ে কোটায় ১২ জন পড়ুয়ার আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল। ২০২২ সালে অন্তত ১৫ জন ছাত্রছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল কোটায়। কোচিং সেন্টারগুলিতে পড়াশোনার অত্যধিক চাপ কমানোর জন্য স্থানীয় প্রশাসনের তরফে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তাতে যে বিশেষ লাভ হয়নি, তা স্পষ্ট।
মালদহে গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থীকে পিটিয়ে খুন, কাঠগড়ায় কংগ্রেস