শেষ আপডেট: 14th February 2025 19:49
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ১৪৪ বছর পর মহাকুম্ভ আয়োজিত হয়েছে প্রয়াগরাজে। ভিড়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে একাধিক পুণ্যার্থীর। একবার নয়, দু'বার পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। মৃতদের মধ্যে বাংলারও অনেকে ছিলেন। এই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশ সরকারের দিকে আঙুল তুলেছে দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ। শুক্রবার প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে সরব হয়েছে গোটা বিষয়টি নিয়ে। আহ্বায়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুর্ণেন্দু বসু, দোলা সেন, সুদেষ্ণা রায়-সহ একাধিক দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের সদস্য।
এদিন মূলত সাতটি বিষয়ের কথা বলা হয়। সাতটি দাবি সকলের সামনে তুলে ধরেন গণমঞ্চের সদস্যরা। প্রথমে বলা হয়, কুম্ভমেলায় পশ্চিমবঙ্গ-সহ অন্যান্য রাজ্যের যেসকল মানুষ পদপিষ্ট হয়ে মারা যাওয়ার পরও তাঁদের মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়া হয়নি, তা অবিলম্বে দিক উত্তরপ্রদেশ সরকার। দ্বিতীয়ত, পদপিষ্টের ঘটনার পর যেসব মানুষ এখনও নিখোঁজ তাঁদের সন্ধান জানানোর জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকার অবিলম্বে তৎপর হোক। তিন, এই মৃত মানুষদের পরিবারগুলিকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিক উত্তরপ্রদেশ সরকার।
মূল তিনটি আবেদন ছাড়াও পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা উত্তরপ্রদেশ সরকার জানাক। যাদের অপদার্থতা এবং অপরিণামদর্শিতার কারণে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। অবিলম্বে পশ্চিমবঙ্গের গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলা ঘোষণা করা হোক, এমন সব দাবিও তোলা হয়েছে।
গণমঞ্চের সদস্যরা ভয়াবহতা উল্লেখ করে এই ঘটনার দায় নিতে বলেছে সরকারকে। পাশাপাশি যোগী আদিত্যনাথকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অবিলম্বে পদত্যাগ করার আবেদন জানিয়েছেন।
প্রেস ক্লাবে গণমঞ্চের আবেদনে উপস্থিত বাংলার শ্যামলী রুইদাস ও সুরজিৎ পোদ্দাররা (পরিজনকে মহাকুম্ভে হারিয়েছেন) জানান, প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মেলার আয়োজন যেভাবে করা হয়েছে তা মৃত্যু মিছিলে পরিণত হয়। শুধু আমাদের মা বা স্বামীরা কেন, অনেকের জীবনই বাঁচানো যেত। কিন্তু প্রশাসনের তরফে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ভিআইপিদের সুব্যবস্থা দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা দিয়ে স্নান করতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য বিপরীত ব্যবস্থা। আমাদের এখনও ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি। রাজ্যে প্রচলিত আইন অনুযায়ী, কারও ডেথ সার্টিফিকেট না দেওয়া হলে এখনও জীবিত বলে ধরে নেওয়া হয়। যার ফলে আমাদের ইন্সুরেন্স ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।