শেষ আপডেট: 4th January 2025 18:02
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অবিলম্বে অপরাজিতা বিলে কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুমোদন দিতে হবে, এই দাবি তুলে শনিবার শহরে মিছিল করল তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস। রামলীলা ময়দান থেকে এই মিছিল শুরু হয় যার নেতৃত্বে ছিলেন শশী পাঁজা।
আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রীকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ হত্যা কাণ্ডের আবহেই গত বছর সেপ্টেম্বরে রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয়েছিল অপরাজিত বিল। নারী নির্যাতন রোধে রাজ্যের আনা ওই বিল দ্রুত পাশ করানোর দাবিতে এর আগে একাধিকবার কর্মসূচি পালন করেছে তৃণমূল। শনিবার আবারও বিলে কেন্দ্রীয় অনুমোদনের দাবিতে মিছিল করল রাজ্যের শাসক দল।
শশী পাঁজা এই মিছিল থেকে সংবাদমাধ্যমে বলেন, আরজি কর কাণ্ডের দ্রুত বিচার সকলেই চাইছেন। তৃণমূলও অন্য কিছু চাইছে না। আর এই অপরাজিতা বিল যদি আইন হয়, তাহলে বিচারও দ্রুত মিলবে। গোটা বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করা হলে সেটি দুঃখজনক বিষয়।
কী আছে এই খসড়া বিলে?
ধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিতার যদি মৃত্যু হয় কিংবা নির্যাতিতা কোমা অথবা চিরকালের মতো শারীরিক-মানসিক অথর্ব হয়ে যায়, তাহলে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।
ধর্ষণ-গণধর্ষণের ঘটনায় যে বা যারা দোষী সাব্যস্ত হবে তাদের আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ঘটনা যদি গুরুতর হয় তাহলে শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং জরিমানা।
দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এই বিলে। এফআইআর হওয়ার পর যত দ্রুত তদন্তের কাজ শেষ করতে হবে। প্রস্তাবিত বিলে রয়েছে তদন্তের কাজ ২১ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে। এর আগে এর সময়সীমা ছিল ২ মাস। তবে পুলিশ সুপার অথবা সম পদমর্যাদার কেউ লিখিতভাবে যুক্তিযুক্ত কারণ দর্শালে তদন্তের মেয়াদ আর ১৫ দিন পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে।
অ্যাসিড আক্রান্তের ঘটনাতেও আমৃত্যু যাবজ্জীবন, ক্ষেত্রবিশেষে প্রাণদণ্ডের প্রস্তাব রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত বিলে।
এই বিল নিয়ে অবশ্য রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস দাবি করেছিলেন যে, তাড়াহুড়ো করে বানাতে গিয়ে বিলের মধ্যে রয়েছে অসংখ্য ত্রুটি। যা তিনি চিহ্নিত করে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন।