শেষ আপডেট: 24th September 2024 13:08
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কর্মস্থলে মহিলারা কতটা সুরক্ষিত তা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে আরজি কর হাসপাতালে নৃশংস ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা। এ ব্যাপারে দ্রুত বিচার চেয়ে মানুষ যখন আদালতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে, তখন কলকাতা হাইকোর্টের লিফটের মধ্যে এক তরুণী আইনজীবীর শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ নিয়ে হুলস্থুল পড়ে গেল।
আইনজীবীর অভিযোগ, কলকাতা হাইকোর্টের সি-বিল্ডিংয়ের একটি লিফটে তাঁকে একা পেয়ে শ্লীলতাহানি করেন চতুর্থ শ্রেণীর এক কর্মী। ঘটনার পরই ওই আইনজীবী তাঁর সহকর্মীদের খবর দেন। এরপর এজলাসে অভিযুক্তকে ডেকে এনে মারধর করে উত্তেজিত লোকজন। এ ধরনের ঘটনায় যেমনটা হয়, এক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি। আদালত পাড়ায় দাবানলের মতোই খবর ছড়ায়। হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ আসে। সিনিয়র আইনজীবীরা এর পর হেয়ার স্ট্রিট থানায় এফআইআর দায়ের করেন।
ওই তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, এর আগেও বিভিন্ন সময়ে একাধিক মামলা বিচারের তালিকায় আগে তুলে দেওয়ার টোপ দিয়ে ওই অভিযুক্ত তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করেছিল। আদালতে তিনি এলে ছুতোনাতায় তাঁর পিছনে ঘুর ঘুর করত সে। তাঁকে তখন সতর্ক করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, এ ধরনের অসভ্যতা না করতে। কিন্তু তাতেও বিরত করা যায়নি। এদিন তাঁকে লিফটে একা পেয়ে অসভ্যতা শুরু করে ওই কর্মী। অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্তে নেমেছে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ।
আরজি করের ঘটনার পর যেভাবে চারিদিকে আন্দোলন শুরু হয়েছে তাতে অনেকেই ভেবেছিলেন এই ধরনের ঘটনা হয়তো কমে যাবে। কিন্তু কোথায় কী? গত কয়েক সপ্তাহে একাধিক হাসপাতাল থেকেই মহিলা চিকিৎসক, নার্সদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এসেছে। কিছুদিন আগে বাইপাসের এক বেসরকারি হাসপাতালের মহিলা ডাক্তারকে 'আরজি কর করে দেব' বলে শাসানো হয়েছিল। এবার কলকাতা হাইকোর্টে এমন ঘটনায় আরও উদ্বেগ বাড়ল।
অনেকের মতে, বিষয়টিকে বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে দেখা উচিত। সরকারি অফিস কাছারিতে কর্মস্থলে মহিলাদের সুরক্ষার ব্যাপারটা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তবে সরকারি বেসরকারি উভয়ক্ষেত্রেই যোজনাবদ্ধ ভাবে এর মোকাবিলার একটা পথ ভাবা দরকার। এবং তা বিক্ষিপ্ত প্রক্রিয়া হলে চলবে না। এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ দরকার।