শেষ আপডেট: 4th March 2025 23:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো: 'এভাবে রাজ্যের ঐতিহ্যকে নষ্ট হতে দেওয়া যায় না। ট্রামকে (Kolkata Tram) বাঁচিয়ে রাখতে হবে'। গত ১৪ জানুয়ারি ট্রাম সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court )।
আদালত এও বলেছিল, ট্রামলাইন বুজিয়ে ফেলার কাজ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। আদালতের নির্দেশ পালন হচ্ছে কিনা, এবিষয়ে নিশ্চিত হতে রাজ্যকে ছবি-সহ রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি।
হাইকোর্টের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিমকোর্টে গিয়েছে রাজ্য। যার জেরে মঙ্গলবার ট্রাম সংক্রান্ত মামলার শুনানি মুলতুবি রাখলেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
সূত্রের খবর, মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে শীর্ষ আদালতে উঠবে মামলাটি। এ বিষয়ে শীর্ষ আদালত কী অবস্থান নিল, আগামী ২৫ মার্চ তা শুনবে হাইকোর্ট।
তথ্য বলছে, একসময় কলকাতায় গমগম করে ট্রাম চলত ২৭-২৮টি রুটে। বছর ১৫ আগেও এক ডজন রুটে সচল ছিল ট্রাম। ট্রামের টিংটিং ঘণ্টিতে, কাঠের সিটে, শেষ আসনে বসে খাওয়া বাদামভাজার খোলসে যে কত সুখদুঃখ-হাসিকান্না জমে আছে, তার ইয়ত্তা নেই। দেড় শতক ধরে শহরের নস্টালজিয়া বহন করা সেই ট্রাম নিয়েই ইদানিং অভিযোগের অন্ত নেই।
প্রায়ই অভিযোগ ওঠে, ট্রামলাইনের জন্য দুর্ঘটনা ঘটার। জনসংখ্যার তুলনায় রাস্তা অনেক কম। সময়ের সঙ্গে মানুষের ব্যস্ততাও যেন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ফলে কালো ধোঁয়া উড়িয়ে, জোরাল শব্দ করে, গাঁকগাঁক করে ছুটে চলা গতির যুগে বড্ড বেমানান ট্রাম। তার শ্লথ গতি, বড়সড় চেহারা, নিজের পথে নিজের মতো দূষণহীন চলা-- এসবই যেন বড় বিড়ম্বনার কারণ।
তাই শেষমেশ ট্রামকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তা নিয়েই হাইকোর্টে গড়িয়েছিল মামলা। তাতেই প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, "ট্রাম রাজ্যের ঐতিহ্য। তা তুলে দেওয়া খুব সহজ কাজ। কিন্তু রাজ্যকে ট্রাম বাঁচাতে উদ্যোগ নিতে হবে। বহু দেশে ট্রাম চলে। কোথাও কোথাও রাস্তার একেবারে মাঝখান দিয়ে।"