শেষ আপডেট: 11th March 2025 22:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো: 'কোনও আক্ষেপ নেই'। দিনভর টানটান উত্তেজনা ও বিতর্কের পর শেষপর্যন্ত ইস্তফা দিলেন পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় রায় (Chairman Malay Roy)। জানালেন, সর্বোচ্চ নেত্রী যখন বলে দিয়েছেন, স্বাভাবিকভাবেই তাঁর নির্দেশ মানতে হবে।
মঙ্গলবার সন্ধেয় ফিরহাদ হাকিমের চেতলার বাড়িতে যান মলয়। পুরমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। প্রায় ২৭ মিনিট ধরে দু'জনের মধ্যে কথা হয়। এরপর মলয় জানিয়ে দেন, 'মন্ত্রীর কাছে ইস্তফাপত্র দিয়েছি। SDO-কেও দিয়ে এসেছি'।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, 'আমার কোনও আক্ষেপ নেই। ফিরহাদ হাকিম আমায় অনেক সাহায্য করেছেন। রাস্তা, জল, নিকাশি সবকিছু দিয়েছেন। আমার কোনও আক্ষেপ নেই।'
তাঁর বিরুদ্ধে এলাকার 'ফুসফুস' (Panihati land dispute) বিক্রির ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি সামনে আসার পর মলয় রায়কে পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তারপরও মলয় রায় চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ না করায় এদিন তাঁকে ফোন করে দ্রুত পদত্যাগের নির্দেশ দেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
কিন্তু পদত্যাগ তো দূরস্ত, অপরাধের 'কারণ' জানতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেন তিনি। এরপর কারণ জানতে চেয়েই পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের চেতলার বাড়িতে যান।
মলয়ের দাবি ছিল, 'আমি কী অপরাধ করলাম, এটা জানা দরকার। পানিহাটির মানুষ জানে আমি কাজ করি। যদি মাঠ বেচে খেতাম, তাহলে অনেকের মতো আমিও ফ্ল্যাট বানাতে পারতাম। ৩৫ বছর আগে যা ছিলাম, আজও তাই আছি।'
পাল্টা তিনি প্রশ্ন করেন, 'অপরাধী না হয়ে কেন অপরাধের ভাগ নিতে যাব? মাঠ নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার করা হয়েছে। হতে পারে কেউ আমাকে খারাপ করার জন্য বা নিজেকে ভাল করার জন্য চক্রান্ত করেছে। সেটা সামনে আসা জরুরি। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছি। পুরমন্ত্রীর কাছেও কারণ জানতে চেয়েছি।'
শারীরিকভাবে অসুস্থ মলয় রায় দ্য ওয়ালকে বলেছিলেন, 'দেখছি, আজই রাতে পারলে পুরমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে কারণ জানতে চাইব।'
মঙ্গলবার রাত গড়াতেই জানা যায়, পুরমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।
ফিরহাদ বলেন, 'আমার পার্টি থেকে আমাদের নেত্রী, ওকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন পানিহাটিতে। নিশ্চয়ই নেত্রীর মাথা কিছু আছে, ওঁকে অন্য কোনও দায়িত্ব দেবেন বা দলের কোনও কাজে লাগাবেন। আমরা তো দলের সৈনিক। নেত্রী যে কাজ দেন, সেটা করি। চেয়ার নিয়ে জন্মাইনি, চেয়ার নিয়ে মরেও যাব না। কিন্তু দলের আদর্শ, তার প্রতি আনুগত্য থাকব।'