শেষ আপডেট: 6th September 2024 10:01
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের নৃশংস ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করেছিল মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। তারপর এই ঘটনার তদন্ত চলে যায় সিবিআই-এর কাছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে তো গ্রেফতার করেছে, কিন্তু তিনি চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হননি, হয়েছেন হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির ইস্যুতে। এদিকে আগামী সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি রয়েছে। তার আগে বড় প্রশ্ন তুলে সিবিআই-এর ভূমিকা নিয়ে সরব হলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ডেরেক লিখেছেন, ''আর জি কর কাণ্ডে সিবিআই কবে চার্জশিট দাখিল করে অভিযুক্তদের বিচার শুরু করাবে?'' কলকাতা পুলিশ যাকে গ্রেফতার করেছিল সেই সঞ্জয় রায়ই আরজি করের ছাত্রী খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একমাত্র অভিযুক্ত। কিন্তু দাবি করা হয়েছে, এই ঘটনায় আরও অনেকে যুক্ত থাকতে পারে। কিন্তু সঞ্জয় রায় গ্রেফতার হওয়ার পর সিবিআই তদন্তের দায়িত্ব নিয়ে এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি। তৃণমূল কংগ্রেস তাই বারবার সিবিআই-এর তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, আগামী সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানির আগে ডেরেকের এই টুইট আদতে সিবিআই-এর ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করার প্রয়াস।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আরজি কর মামলার তদন্ত হাতে নেওয়ার পর একাধিকবার হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে। সন্দীপ ঘোষ সহ আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু মূল ঘটনায় কোনও অগ্রগতি করতে পারেনি। কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিছিল করে বিচার চেয়েছিলেন সিবিআই-এর কাছে। দোষীদের ফাঁসির দাবিও তোলা হয়েছে। কিন্তু চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় সিবিআই-এর তরফে বাড়তি কোনও তথ্যই সামনে আনা হয়নি। সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্ট হলেও তা নিয়ে ধন্দ দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেস যুক্তিসঙ্গত প্রশ্ন তুলে দিয়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
সাম্প্রতিক যে তথ্য সামনে আসছে তাতে জানা গেছে, পলিগ্রাফ টেস্টে একাধিক বিভ্রান্তিকর বয়ান দিয়েছে সঞ্জয় রায়। তাতে ধন্দ আরও বেড়েছে গোয়েন্দাদের। যদিও তাঁরা মনে করছেন, সঞ্জয় যে যে দাবি করছে তার কিছুই সত্যি নয়। তাঁদের অনুমান, তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করতেই এমন কথা বলছে সঞ্জয়। পলিগ্রাফে তার মিথ্যা ধরা পড়ে গেছে বলেই দাবি।
এদিকে আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রী ধর্ষণ-খুনের মামলার শুনানি গতকাল, বৃহস্পতিবার হওয়ার কথা ছিল সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু বুধবার রাতেই আদালতের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছিল, বৃহস্পতিবার ওই মামলার শুনানির সম্ভাবনা না। কারণ, প্রধান বিচারপতি অসুস্থ। এই কারণেই আশাহত হয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় শোরগোল তৈরি হয়েছিল জনমানসে। তবে এখন জানা গেছে, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আরজি কর মামলার শুনানি হবে। থাকবেন প্রধান বিচারপতিও।