শেষ আপডেট: 17th September 2024 02:02
প্রীতি সাহা
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে পৌঁছেছিলেন সন্ধে ৬টার কিছু পরে। ম্যারাথন বৈঠক শেষে আন্দোলনরত ডাক্তারি পড়ুয়ারা যখন বাইরে এলেন তখন ঘড়ির কাঁটা রাত ১২ টা ছুঁইছুঁই।
প্রায় ৬ ঘণ্টা! বৈঠক এবং তা শেষে বৈঠকের বিস্তারিত বিবরণী লিপিবদ্ধ করার পর তবেই কালীঘাটের 'স্পট' ছাড়লেন আন্দোলনকারীরা। দীর্ঘ সময় ধরে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে থাকাকালীন কী কী খেলেন আন্দোলনকারীরা?
এখানে উল্লেখ্য, শনিবার সন্ধেয় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে পৌঁছেও ঠায় বাইরে দাঁড়িয়ে থেকেছিলেন আন্দোলনকারীরা। মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়েও বৈঠকের মধ্যে ভিডিও রেকর্ডিংয়ের দাবিতে সমানে দরকষাকষি করে গিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর চায়ের আমন্ত্রণও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। এবং বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর কাঁদতে কাঁদতে স্বাস্থ্য ভবনের ধর্না মঞ্চে ফিরে আন্দোলনকারীরা ছড়া কেটে স্লোগান তুলেছিলেন, 'তোমার চা তুমি খাও, আমাদের বোনকে ফিরিয়ে দাও!'
এদিকে সোমবারের রাত পোহালেই সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি হবে। তার আগে অচলাবস্থা কাটাতে মুখ্যমন্ত্রীর পাশাাপাশি আন্দোলতরত জুনিয়র শিক্ষকদের একটা বড় অংশ যে আগ্রহী তা ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছিল।
এদিনের বৈঠকে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের তরফে ৪২ জন উপস্থিত হয়েছিলেন। অন্যদিকে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। সূত্রের খবর, বৈঠকের শুরুতে আন্দোলরত জুনিয়র চিকিৎসকদের চা খেতে দেওয়া হয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে তা ফিরিয়ে দেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে টানা ৬ ঘণ্টা তাঁরা জল ছাড়া কিছুই খাননি।
ঘড়ির কাঁটায় রাত প্রায় ১টা। সল্টলেকে স্বাস্থ্যভবনের অদূরে ধর্নামঞ্চে কাগজের চায়ের কাপে চুুমুক দিতে দিতে এক আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসক বললেন, "নির্যাতিতার বিচার হোক। দোষীরা শাস্তি পাক। সুযোগ থাকলে তখন নিশ্চয়ই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে চা খেয়ে আসব।"
৩৭ দিন আন্দোলনের পর রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান অধিকাংশ দাবি মেনে নেওয়ায় ততক্ষণে আনন্দ-উৎসবেও মেতেছেন অনেকে।