সিজিওতে ডেপুটেশন জমা দিয়েছে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন
শেষ আপডেট: 18th November 2024 15:21
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর হাসপাতালের নৃশংস ঘটনার তিন মাস পার হয়ে গেছে। কিন্তু বিচার এখনও মেলেনি। বর্তমানে সিবিআই চার্জশিট দেওয়ার পর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে শিয়ালদহ কোর্টে চলছে বিচার প্রক্রিয়া। এই পরিস্থিতির মধ্যে সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে সিবিআই অফিসে ডেপুটেশন জমা দিল ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন। তাঁদের প্রধান দাবি, যত দ্রুত সম্ভব বিচার দিতে হবে।
জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের পাল্টা সংগঠন এই ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন। তাঁরা প্রতিবাদী জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো, দেবাশিস হালদারদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই বিচারের নামে টাকা তোলা, থ্রেট কালচার চালানোর অভিযোগ তুলেছে। একই সঙ্গে, একাধিক দাবি জানিয়ে সিবিআই-এর ওপরও চাপ বাড়িয়েছে। এর আগে ডক্টরস ফ্রন্টের মতো বিক্ষোভ মিছিল, গণকনভেনশন করেছে তাঁরা। এবার সিজিওতে গিয়ে ডেপুটেশনও জমা দিল এই সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম প্রধান মুখ শ্রীশ চক্রবর্তী বলেন, ''সিবিআই দ্রুত সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিক। যে তথ্য সামনে আনার আছে তা সামনে আনুক। শিয়ালদহ কোর্টে যে ট্রায়াল চলছে তাতে সিবিআই তাঁদের সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন আইনজীবী নিয়ে আসুক এবং আমাদের বিচার দিক।'' এর পাশাপাশি তিনি এও দাবি করেন, একপক্ষ মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে আড়াল করার চেষ্টা করছে। বিচারের দাবিতে পথে নামা সাধারণ মানুষের আবেগ ব্যবহার করে কেউ কেউ রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে।
এই সংগঠনের আর এক সদস্য অতনু বিশ্বাস বড় অভিযোগ করেছেন। তাঁর স্পষ্ট দাবি, ''জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের কিছু নেতা ধর্ষণ-খুনের মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের প্রতি সমবেদনা দেখাচ্ছে। তাঁদের এই ধরনের আচরণকে তীব্র ধিক্কার জানাই। তাঁরাই একসময়ে প্রশ্ন তুলেছিল মানুষ নির্যাতিতার পক্ষে না ধর্ষকের পক্ষে। সেই তাঁরাই এখন ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে সমবেদনা দেখাচ্ছে।''
শিয়ালদহ আদালতে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার প্রথম দিন সঞ্জয় রায় সংবাদমাধ্যমে চিৎকার করে বলেছিল, তাঁকে প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল ফাঁসাচ্ছেন। পুলিশ ডিপার্টমেন্ট সব জানে, কেউ তাঁকে কোনও কথা বলতে দিচ্ছে না! সঞ্জয়ের এই দাবিতে শোরগোল শুরু হয়। রাতারাতি সঞ্জয়ের নিরাপত্তাও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে সে আর সংবাদমাধ্যমে কথা না বলতে পারে। সঞ্জয় রায়ের দাবি সম্পর্কে জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের তরফে বলা হয়েছিল, তাঁর বয়ান যাচাই করা উচিত।
কিঞ্জল নন্দের বক্তব্য ছিল, ''তাকে কে ফাঁসিয়েছে, কেন ফাঁসানো হচ্ছে, এই পুরো ঘটনার মোটিভ কী, সেটা দ্রুত সিবিআই-এর সামনে আনা উচিত। দ্রুত তদন্ত করে সিবিআই এইসব বিষয়গুলি সামনে নিয়ে আসুক।'' এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই ডব্লিউবিজেডিএ-র তরফে অতনু বিশ্বাস বিস্ফোরক দাবি করলেন।