শেষ আপডেট: 28th October 2024 07:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো, দেবাশিস হালদারের মতো আরজি কর আন্দোলনের অন্যতম মুখদের বিরুদ্ধেই 'থ্রেট কালচার'-এর অভিযোগ তুলেছে তাঁদের পাল্টা সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন। একই সঙ্গে তাঁদের এও অভিযোগ, বিচারের নামে টাকা তোলা হচ্ছে। ইতিমধ্যে তাঁদের এইসব অভিযোগ নিয়ে শোরগোল। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা বিবৃতি দিয়ে এটাও স্পষ্ট করল যে তাঁরা কেন এই সংগঠন তৈরি করল। তাঁদের রয়েছে একাধিক দাবি।
ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন বলছে, তাঁদের মূল দাবি আরজি কর কাণ্ডের ন্যায় বিচার এবং দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তি। তবে এর পাশাপাশি আরও বেশ কিছু বিষয়ে রাজ্য প্রশাসনকে নজর দিতে আর্জি জানিয়েছে তাঁরা। প্রেস বিবৃতি দিয়ে তাঁরা মূলত ৬টি দাবি করেছে। একই সঙ্গে এও জানিয়েছে, ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের মতো তাঁরাও খুব শীঘ্রই গণকনভেনশনের ডাক দেবে।
কী কী দাবি রয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের?
এক, সিবিআই-কে অতি দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
দুই, প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনা এবং রোগী পরিষেবা সচল রাখতে হবে।
তিন, থ্রেট কালচারের নামে কোনও জুনিয়র ডাক্তারকে রাজনৈতিক মদতপুষ্ট তদন্ত কমিটির দ্বারা বহিষ্কার করা যাবে না। সব অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত, দরকার পড়লে প্রাক্তন বিচারপতিদের নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন।
চার, হাসপাতালগুলিতে শূন্য বেডের সংখ্যা এবং কী কী ওষুধ আছে তা ডিজিটালভাবে সাধারণ মানুষের কাছে জানানো। 'রেফারেল সিস্টেম' দ্রুত কার্যকর করা।
পাঁচ, হাসপাতালের টেন্ডারের কাজ স্বচ্ছ ই-টেন্ডারের মাধ্যমে করতে হবে।
ছয়, বিচারের নামে একাধিক অ্যাকাউন্টে যে টাকা তোলা হয়েছে তার উৎস কী জানতে রাজ্য প্রশাসন বা কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে তদন্ত।
গত শনিবারই সাংবাদিক বৈঠক করে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে দাবি করা হয়, নির্যাতিতার বিচারের নামে ৪.৭৫ কোটি টাকা তুলেছেন অনিকেত মাহাতো, দেবাশিস হালদার, কিঞ্জল নন্দরা। আন্দোলনের নামে কি টাকা তুলছেন জুনিয়র ডাক্তাররা? এই প্রশ্ন এর আগে তুলেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। একই দাবি করে প্রতিবাদী জুনিয়র ডাক্তারদের নিশানা করেছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
তাঁদের বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে সরাসরি কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি ডক্টরস ফ্রন্টসের অন্যতম মুখ অনিকেত, কিঞ্জলরা। তাঁদের শুধু বক্তব্য, গণতান্ত্রিক দেশে যে কেউ সংগঠন খুলে তাঁদের কথা বলতেই পারে। তবে কী উদ্দেশে, কারা এই সংগঠন খুলছে তা দেখা প্রয়োজন।