Date : 15th May, 2025 | Call 1800 452 567 | [email protected]
বিকাশ ভবনের লোহার গেট ভেঙেই দিলেন প্রতিবাদীরা, স্রোতের মতো ভিতরে ঢুকছেন চাকরিহারা শিক্ষকরাOperation Keller: লস্করের পর কাশ্মীরে ৩ জইশ জঙ্গিকে খতম করল সেনা, তল্লাশি অভিযান এখনও জারি'রাস্তার কুকুরদের পিটিয়ে মারা উচিত', অভিনেতা টিনুর নামে FIR দায়ের হতেই সাফাই দিলেন, 'যদি এতই দয়া হয়...'ভামিকা-অকায়কে কোলে নিয়ে অনুষ্কার বাড়িতে বিরাট, দিদার সঙ্গে নাতি-নাতনির খুনসুটির ভিডিও ভাইরাল৪ দিনেই পাকিস্তানি বাহিনীর নাক কেটে দিয়েছে ভারত, উপগ্রহ ছবিতেই প্রমাণ: রিপোর্ট'আমাদের সঙ্গে ভদ্র আচরণ করতে হবে, না হলে বদলা নেওয়ার ক্ষমতা আছে', তুরস্ক-চিনকে হুঁশিয়ারি দিলীপেরShubhman Gill: 'ও তো প্রথম একাদশেই নিশ্চিত নয়!’, টিম ইন্ডিয়ার ভাবী টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে শুভমানে অনাস্থা শ্রীকান্তেরসাংবাদিক বিশ্বজিৎ রায় প্রয়াতএকাধিক জেলায় কালবৈশাখীর সতর্কতা, সপ্তাহের শেষে রাজ্যের আবহাওয়া রূপ বদলাবেলখনউয়ের কাছে দিল্লিগামী বিহারের বাসে আগুন, মৃত ৫
Alipore Zoo – Land sell

চিড়িয়াখানার আড়াইশ কাঠা জমি নিলামে বেচে দেবে সরকার, নোট চূড়ান্ত করল ভূমি দফতর

Advertisement

রাস্তার যে পাশে মূল চিড়িয়াখানার চৌহদ্দি রয়েছে, এই ভূমি খণ্ডটি রয়েছে তার অপর দিকে।

চিড়িয়াখানার আড়াইশ কাঠা জমি নিলামে বেচে দেবে সরকার, নোট চূড়ান্ত করল ভূমি দফতর

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Advertisement

শেষ আপডেট: 24 July 2024 21:18

রফিকুল জামাদার 

আলিপুর চিড়িয়াখানার আড়াইশ কাঠা জমি বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য নিলাম করে দেবে সরকার। চিড়িয়াখানা ও কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, এ ব্যাপারে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য নোট চূড়ান্ত করে ফেলেছে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর। মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেলে, জমিটির নিলামে হাত দেবে হিডকো (WBHIDCO)। 

চিড়িয়াখানার যে জমিটি নিলামের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে তার আয়তন ২৫৪ কাঠা তথা ১,৮২,৮৮০ স্কোয়ার ফুট। ওই জমির ঠিকানা হল, ৩৪এ বেলভেডিয়ার রোড। গত ৯ জুলাই ওই জমি পরিদর্শনে যান পুরসভা, বন দফতর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসনের কর্তারা। সেই সঙ্গে আলিপুর চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর ও পূর্ত দফতরের প্রতিনিধি পরিদর্শনের সময়ে ছিলেন। 

রাস্তার যে পাশে মূল চিড়িয়াখানার চৌহদ্দি রয়েছে, এই ভূমি খণ্ডটি রয়েছে তার অপর দিকে। এই জমিতে চিড়িয়াখার একটি অ্যকোয়ারিয়াম, একটি অডিটোরিয়াম, একটি পশু হাসপাতাল, নার্সারি ও স্টাফ কোয়ার্টার রয়েছে। অডিটোরিয়াম আর স্টাফ কোয়ার্টারের হতশ্রী অবস্থা। 

যৌথ পরিদর্শনের পর স্থির হয়েছে—

১) চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে ওই জমি খণ্ডে নতুন করে প্ল্যান করা হবে। 

২) সাধারণ মানুষের আমোদ ও সামুদ্রিক প্রাণী নিয়ে আগ্রহ বাড়াতে নতুন করে একটি অ্যাকোয়ারিয়াম তৈরি করা হবে।

৩) পুরো জমিটার জন্যই ই-অকশন তথা নিলাম করবে হিডকো।   

পুরসভা সূত্রে খবর, পুর আইন ১৯৮০-র ৩৭ নম্বর ধারা মোতাবেক এই প্রস্তাব অনুমোদন করে দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। তাৎপর্যপূর্ণ হল, কলকাতা পুরসভার বর্তমান মেয়র এবং হিডকোর চেয়ারম্যান হলেই একই ব্যক্তি। তিনি পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। 

এখন কৌতূহলের বিষয় হল, কেন এই জমি নিলাম করে বাণিজ্যিক ব্যবহারে অনুমতি দেওয়ার কথা চলছে? সরকারি সূত্রে বলা হচ্ছে, শহরের মধ্যে যেখানে চিড়িয়াখানা রয়েছে সেখানে জমির দাম সোনার দামের বেশি। তাই চিড়িয়াখানাকে অনেক আগেই কলকাতার বাইরে স্থানান্তরিত করার কথা উঠেছিল। তা ছাড়া শহরের উপর চাপ বাড়ছে, তাই আরও অধুনিক পরিকাঠামোর প্রয়োজন।

এর বাইরে আরও একটি কারণ রয়েছে। সরকারের অর্থ সংকট রয়েছে। বহুমূল্যবান জমির সঠিক ব্যবহারের মধ্যে দিয়ে সরকার কিছু রাজস্ব আয় করতেও চাইছে। এ ব্যাপারে সরকার, পুরসভা ও হিডকোর মনোভাব দেখে মনে করা হচ্ছে যে, চিড়িয়াখানার কর্মীদের কোয়ার্টার ছাড়া বাকি জমিটা বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য দেওয়া হবে। এমনকি প্রস্তাবিত অ্যাকোরিয়ামটিও সরকার তৈরি করবে না। তা বেসরকারি উদ্যোগেই তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হবে।

Advertisement

Advertisement


ভিডিও স্টোরি