শেষ আপডেট: 21st October 2024 17:39
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ। যা সোমবার অর্থাৎ আজ সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আগামীকাল পরিণত হবে গভীর নিম্নচাপে। এবং শক্তি বাড়িয়ে ২৩ তারিখ অর্থাৎ বুধবারের মধ্যেই রূপ নেবে ঘূর্ণিঝড়ের। এর ফলে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায়। বৃষ্টির পরিমাণ বেশি থাকবে দুই ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুরে। সোমবার এমনই জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, প্রভাব উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে পড়বে, প্রথম থেকেই এমন পূর্বাভাস দিয়েছিল আলিপুর। সেই মতো বুধে বৃষ্টি শুরুর কথাও বলা হয়েছিল। কলকাতা-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ রবিবার থেকেই মেঘলা। রবিবার ও সোমবার কোথাও তেমন ভারী বৃষ্টি না হলেও মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি শুরুর পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পশ্চিমে অগ্রসর হয়ে উত্তর ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূল অতিক্রম করবে। ২৪ তারিখ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাত থেকে ২৫ তারিখ ভোরের মধ্যে পুরী ও সাগর দ্বীপের মাঝামাঝি কোথাও আছড়ে পড়বে। এই সময় উপকূলবর্তী এলাকায় হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০-১১০। তবে সাগর ও পুরীর কাছে ১২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগেও হাওয়া বইতে পারে সতর্ক করল আলিপুর।
উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে এই সময় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। ঝোড়ো হাওয়া বইবে। সোমবার থেকে উত্তাল হতে শুরু করেছে আন্দামান সাগর। মৎস্যজীবীদের তাই আজ থেকেই আন্দামান সাগরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পূর্ব ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে মৎস্যজীবীদের না যাওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।
বাংলা ও ওড়িশার উপকূল সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরেও মৎসজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যারা রয়েছে সমুদ্রে তাদের ফিরে আসার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
উপকূলবর্তী এলাকায় কাঁচা বাড়ি ও পুরনো বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গাছপালা ভেঙে পড়ার ও বিদ্যুৎ সংযোগ নষ্ট হওয়ার সতর্কতাও জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।