শেষ আপডেট: 11th August 2024 18:10
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজিকর কাণ্ডের প্রভাব পড়ল এবার জরুরি পরিষেবাতেও। রবিবার দুপুরে আন্দোলনকারী ডাক্তারি পড়ুয়া ও জুনিয়র চিকিৎসকরা লিখিতভাবে জানিয়ে দিলেন, তাঁদের দাবি না মানা পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। একই সঙ্গে এবার থেকে জরুরি পরিষেবাতেও তাঁরা যোগ দেবেন না।
কী কী দাবি রয়েছে আন্দোলনকারীদের?
আন্দোলনকারীদের দাবি, ঘটনা থেকে স্পষ্ট একজন নয়, আরও একাধিক জন যুক্ত থাকতে পারে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের ওই ঘটনায়। তাই অবিলম্বে সিসিটিভি ফুটেজ এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনতে হবে।
দুই: যেভাবে ঘটনাটিকে প্রথমে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা হয়েছিল, তাতে কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে লিখিতভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। সুপারের পাশাপাশি হাসপাতালের চেস্ট মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধানকেও অপসারণ করতে হবে।
তিন: নিহতের পরিবারের জন্য উপযুক্ত অর্থসাহায্য করতে হবে। এবং একই সঙ্গে তদন্তের আপডেট প্রতিদিন জনসমক্ষে আনতে হবে।
আন্দোলনকারীদের কথায়, নো সেফটি নো ডিউটি। যেভাবে হাসপাতালের চৌহদ্দির মধ্যে একজন ডাক্তারি পড়ুয়াকে নৃশংসভাবে খুন করা হল, তারপর তো এটা স্পষ্ট নিরাপত্তা বলে কিছু নেই।
গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আরজিকরের চারতলার সেমিনার হলে নৃশংসভাবে খুন করা হয় ডাক্তারি ছাত্রকে। পুলিশি তদন্তে প্রাথমিকভাবে উঠে এসেছে, মৃতার শরীরের অন্তত ১১ জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বুক, পেট, পা থেকে শুরু করে ঘাড়, গলা এমনকী যৌনাঙ্গে আঘাত রয়েছে। হাড় ভেঙেছে একাধিক। অপরাধের ধরন দেখে অনেকেই মনে করছেন যে, অভিযুক্ত একা সেখানে ছিলেন না, তার সঙ্গে অন্য কেউ বা একাধিকজনও থাকতে পারে।
ঘুমের মধ্যে থেকে টেনে তুলে তরুণীর ওপর নারকীয় অত্যাচার চালানো হয়েছে বলে আগেই জানা গেছে। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তরুণীকে একবার নয় একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। একই সঙ্গে মারধরও করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই একটা প্রশ্ন উঠে আসে, এই সময়ে তরুণীর চিৎকার কেন কেউ শুনতে পেল না। কেন কেউ তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে এল না। এই জায়গাতেই মূল সন্দেহ যে, অভিযুক্তের সঙ্গে সেখানে আরও কেউ থাকতে পারেন। অর্থাৎ একাধিক জন মিলে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তাই তরুণী চাইলেও চিৎকার করতে পারেননি।