শেষ আপডেট: 3rd March 2025 16:43
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শনিবার রণক্ষেত্রর চেহারা নিয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। ওয়েবকুপার বার্ষিক সাধারণ সভার (WBCUPA) মধ্যেই ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় বাম ছাত্র সংগঠন। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি তোলা হয় স্লোগান। এই ঘটনায় একাধিক ছাত্র আহত হয়েছে বলে যেমন দাবি, তেমনই শিক্ষামন্ত্রী সহ একাধিক অধ্যাপককে হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এবার সাংবাদিক বৈঠক করে ওয়েবকুপা দাবি করল, শিক্ষামন্ত্রীর গাড়িতে পরিকল্পনা করেই হামলা করা হয়েছে।
ব্রাত্য বসু ওয়েবকুপার সভার জন্য যাদবপুরে গেলে উত্তেজনা আরও বাড়ে। তাঁর সভাস্থলে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভরতরা। তারপর তিনি বেরনোর সময়ে তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। অভিযোগ, শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়েছে, তাঁর গাড়িতে 'চোর'ও লিখে দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া ছাত্রদের হামলায় শিক্ষামন্ত্রীও আহত হন। ওয়েবকুপা সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেছে, সভায় যারা উপস্থিত ছিল তারা তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনী বলে রটিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অনুষ্ঠানই ছিল অধ্যাপকদের। গোটা রাজ্য থেকেই অধ্যাপকরা এসেছিলেন।
ওয়েবকুপার দাবি, তাঁরা যা বলতে চেয়েছিলেন, যা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছিলেন তা সম্পূর্ণ নস্যাৎ করে দিয়ে পাল্টা অভিযোগ করা হল যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে নাকি দুষ্কৃতীরা ঢুকে পড়েছিল। সুরেন্দ্রনাথ, আশুতোষ কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের লোকও নাকি সেখানে ছিল। এই অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যে।
শিক্ষামন্ত্রীর ওপর হামলার ঘটনা পরিকল্পিত দাবি করে তাঁদের বক্তব্য, সমস্ত সংবাদমাধ্যম দেখেছে কারা, কীভাবে গন্ডগোল পাকিয়েছে। কারা শিক্ষামন্ত্রীর গাড়িতে হামলা করেছে, মহিলা অধ্যাপকসহ বাকিদের গায়ে হাত দিয়েছে। অভিযোগ, নিজেদের পতাকা, ব্যানার নিজেরাই ছিঁড়েছেন বিক্ষোভকারী ছাত্ররা।
যাদবপুরের ঘটনার জল ইতিমধ্যে গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে মামলা। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। তবে ছাত্রদের অভিযোগ, তাঁদের অভিযোগ নেওয়া হয়নি। শাসকদলের হয়ে কাজ করছে পুলিশ। শেষমেশ বিচারপতি মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন।
অন্যদিকে, শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির তলায় এক ছাত্র পড়ে গিয়ে আহত হয়েছিল বলে দাবি উঠেছে। কলকাতা পুলিশ অবশ্য সেই আহত ছাত্রের বিরুদ্ধেই মামলা রুজু করেছে। তিনটি জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা হয়েছে। এছাড়া কলকাতা পুলিশ শনিবারের ঘটনায় ৪৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে।