শেষ আপডেট: 7th October 2024 19:45
দ্য ওয়াল ব্য়ুরো: আরজি করের আন্দোলনের পাশে দাঁড়ালেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শান্তা দত্ত। সকলকে ঠাকুর দেখার পাশাপাশি বললেন ধর্মতলায় অনশন মঞ্চে ঘুরে আসতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগের ৭৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একথা বলেন তিনি।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের ৭৫ বছর উদযাপিত হল আজ, সোমবার। সকালে পতাকা উত্তোলন ও পদযাত্রা দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। যোগ দেন উপাচার্য, বিভাগীয় প্রধান, প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান-সহ অনেকে। সেখানেই 'উৎসব' উদযাপন নিয়ে মন্তব্য করেন উপাচার্য। বলেন, 'আমাদের ছেলেমেয়েরা, ভাই-বোনেরা অনশন করছে, ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে আগে একবার অনশন মঞ্চে যাবেন। প্রতিবাদটা ভুলে যাবেন না।'
নাম না করে প্রশাসনকে ধৈর্য্যশীল হওয়ার বার্তাও দেন তিনি। বলেন 'এই চিকিৎসকরা বয়সে অনেক ছোট। তাঁদের পাশে থাকা অন্তত উচিত ছিল। কিন্তু একের পর এক খারাপ ভাষায় আক্রমণ করা হচ্ছে। এটা কী ধরনের নোংরামি? যে চিকিৎসকরা আন্দোলনের দিশা দেখালেন, তাঁরা যখন আন্দোলন করছেন, সেই মঞ্চ খুলে দেওয়া হচ্ছে। বাধা দেওয়া হচ্ছে। সেটা কি আদৌ উচিত?' সহানুভূতিশীল হলে পরিস্থিতি অন্যরকম হত বলেও দাবি করেন উপাচার্য।
এর প্রসঙ্গ ধরেই সাংবাদিকদের উদ্দেশেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেন শান্তা দেবী। তাঁর কথায় উঠে আসে সাংবাদিকতার দৃঢ়তার দিক। বলেন, 'একটা অসৎ শাসক ও নীতিহীন সাংবাদিকতা দেশকে ডুবিয়ে দিতে পারে। কিন্তু একটা সৎ সাংবাদিকতা অসৎ শাসককে ক্ষমতা থেকে তুলে ফেলে দিতে পারে। সাংবাদিক বন্ধুদের বলব, আপনারা এই কর্তব্যের কথা মনে রাখবেন।'
৭৫ বছর পূর্তি ও উদযাপন নিয়ে উপাচার্যের কথা, 'সাংবাদিকতা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ একটা সাবজেক্ট। আমি এটা বোঝার পর পীযূষকান্তি পানিগ্রাহী ও অঞ্জন বেরাকে সহায়তা করতে পেরেছি। কারণ সাংবাদিকরা না থাকলে, সারা বিশ্ব অন্ধকার। তাঁদের জন্যই আজ বিশ্ব হাতের মুঠোয়। আমি যে জানতে পারছি পৃথিবীর কোথায় কী হচ্ছে, তা তো তাদের জন্যই। কলম বন্ধ করে আপনারা বসে থাকলে আমরা তো অন্ধকারে জীবের মতো পড়ে থাকব। এই সাবজেক্ট তাই আমার কাছে একটা বিজ্ঞান। সব মিলন নিয়ে সাংবাদিকতা।'
আক্ষেপের সুরে পরে যোগ করেন, 'আমি সাংবাদিকতাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাবজেক্ট হিসেবে মনে করি। এটার ৫০ বছর পূর্তি কেন হল না সেটা আমার মনে হচ্ছে।'
দেশে সাংবাদিকতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছড়িয়ে রয়েছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। তাঁদের জন্য সোমবার বিশেষ দিন। এদিন শোভাযাত্রা ও সেনেট হলে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বহু ছাত্রছাত্রী। সেখানেই সমাজের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও কিছু কথা বলেন উপাচার্য। 'আরজি কর থেকে কুলতলি। আরজি করে কর্মস্থলে একজন চিকিৎসককে খুন হতে হয়েছে। আর কুলতলিতে একটা শিশুকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তারপরেও যারা প্রতিবাদ করছে তাদের ওপরে নেমে আসছে নোংরা ভাষা। এটা কোন সমাজে আমরা বাস করছি?'