শেষ আপডেট: 24th November 2023 11:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সাংসারে অনটন। কারও আর নতুন করে চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার বয়স নেই। দিনের পর দিন রাস্তাতেই অনশন করতে করতে শরীর ক্লান্ত-বিধ্বস্ত। তা সত্ত্বেও হার মানতে রাজি নন চাকরিপ্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকাশ ভবনের অদূরে ফের রাস্তায় ধর্নায় বসেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। ঠান্ডায় সারা রাত রাস্তাতেই বসেছিলেন তাঁরা। সকাল হতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। দু’জনকে ভর্তি করতে হয় হাসপাতালে।
গত বুধবার থেকে বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে অনশন। চাকরিপ্রার্থীরা জানিয়েছেন, সরকার তাঁদের কথা না শুনলে আমরণ অনশনের পথে যাবেন তাঁরা। সারা রাত ঠান্ডায় খোলা আকাশের নীচেই বসেছিলেন প্রার্থীরা। শুক্রবার সকালে অসুস্থ হলেন অনেকে। তবে অনশনের সিদ্ধান্ত থেকে কোনও মতেই পিছু হটতে রাজি নন তাঁরা।
বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থীদের প্রশ্ন, দুর্নীতির কারণে ৮ বছর নিয়োগ পিছিয়ে যাওয়ায়, অনেকের বয়স চল্লিশ পেরিয়েছে। তাই তাঁরা আর ইন্টারভিউতে আবেদন করতে পারবেন না। তাঁদের দাবি, আপডেটেড ভ্যাকেন্সি বা বর্ধিত শূন্যপদে নিয়োগ করতে হবে। আন্দোলনকারীরা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো বলেছেন আইন মেনেই নিয়োগ হবে। তাই অবিলম্বে তাঁদের সুযোগ দেওয়া হোক।
সল্টলেকের করুণাময়ীতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নতুন ভবনে ইতিমধ্যে তিন হাজার চাকরিপ্রার্থীর কাউন্সেলিং শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় কাউন্সেলিং চলছে। অন্তত হাজার ছয়েক চাকরিপ্রার্থীর কাউন্সেলিং হওয়ার কথা। আর যাঁরা ইন্টারভিউয়ে ডাক পাননি, তাঁরা ফের বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করেছেন। বিক্ষোভকারীরা জানাচ্ছেন, ২০১৪ সালের পরে গত ১০ বছরে উচ্চ প্রাথমিকে বহু স্কুলে শূন্য পদ তৈরি হয়েছে। কিন্তু সেই শূন্য পদগুলিকে ধরা হচ্ছে না। ফলে এখন যে কাউন্সেলিং হচ্ছে, তাতে উচ্চ প্রাথমিকের সমস্ত স্কুলের শূন্য পদ পূরণ হবে না। তা হলে কেন গেজেটের নিয়ম মেনে শূন্য পদ আপডেট না করে এই কাউন্সেলিং শুরু হল। সিট আপডেট না করার কারণেই অনেকেই ইন্টারভিউতে ডাক পাননি বলে দাবি তাঁদের। উচ্চ প্রাথমিকে শূন্য পদ আপডেট করেই নিয়োগ করা উচিত বলে মনে করছেন তাঁরা।